বিজ্ঞাপন দিন

ডোমারে অধ্যক্ষ নিয়োগে সংখ্যালঘু মারধরের অভিযোগে মানববন্ধন

রতন কুমার রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া মহিলা বিএম কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে আট বছর আগের তারিখে স্বাক্ষর না দেওয়ায় নিয়োগ কমিটির সদস্য উমা কান্ত রায়কে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির ছোট ভাই মেহেদী হাসান মুক্তির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে সংখ্যালঘু জনগোষ্টি হরিণচড়া ইউনিয়নের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছে। 

 সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করে প্রায় দুই শতাধীক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। মানববন্ধনে হরিণচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একত্বতা প্রকাশ করে অংশ নেয়।

উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির সম্পাদক অমরজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে মারধরের স্বিকার উমা কান্ত রায়, হরিণচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ময়নুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক খয়রুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলীপ মুখোপাধ্যায়, যুবলীগ সভাপতি সামিউল ইসলাম বাবু, ওয়ার্ড সভাপতি বনোমালী রায়, সুবাস রায়, গবিন্দ রায়, ধরনীকান্ত রায় প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

তারা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুলের ছোট ভাই মেহেদী হাসান মুক্তি হরিণচড়া মহিলা বিএম কলেজে গত ২০১৩ সালে ব্যবস্থপনা বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ পান। সম্প্রতি কলেজটি সরকারী এমপিওভুক্ত হলে, মুক্তি দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে গায়ের জোড়ে অধ্যক্ষ হতে চায় এবং তৎকালীন নিয়োগ কমিটির সদস্যদের কাছে ২০১২ সালের নিয়োগের ভুয়া কাগজ তৈরী করে জোড় করে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। সদস্যরা স্বাক্ষর না দিলে গতকাল (৭ জুন) রবিবার রাত ৮ টায় উমা কান্তের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর ও গালাগালি করে। এসময় তারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে মুক্তির শাস্তি দাবী করেন তারা।

এ বিষয়ে মেহেদী হাসান মুক্তি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, উমা কান্ত আমাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে কাগজপত্র কেড়ে নেয় এবং আমার সাথে খারাপ আচরন করে। ২০১২ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে বৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ার পর হতে আমি দায়িত্ব পালন করে আসছি।