বিজ্ঞাপন দিন

এবারে বিক্রির শঙ্কায় ব্যস্ততা নেই নীলফামারীর ডোমারের কামারশালায়


রতন কুমার রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি: আগামী ১ আগষ্ট ইসলাম ধর্মালম্বীদের পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হবে। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও মুসলিম উম্মার শান্তির লক্ষ্যে দেওয়া হয় পশু কোরবানী। কোরবানী দেওয়ার কাজে লাগে দেশীয় ছুরি, বটি, দা, চাপড়, বাইশ প্রভৃতি সরমঞ্জাদি। যা কামারশালায় তৈরী হয়। প্রতিবছরে উক্ত সরমঞ্জাদি তৈরীতে ঈদুল আযহার পূর্বে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করে কামারশিল্পীরা। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ও গবাদি পশুর রোগের প্রভাব পড়েছে এবারের কোরবানীর ঈদে। অনেকেই এবার কোরবানী দিচ্ছে না। নীলফামারীর ডোমার উপজেলাও একই চিত্র বিরাজ করছে। গরুর কোরবানী কম হওয়ায়, মানুষ ছুরি, চাপড়, বটিও কম নিচ্ছে। এতে কামারশিল্পীদের ভরা মৌসুমেও তেমনটা কাজ নেই। সারা বছরে কামারদের কম কাজ থাকে। তবে কোরবানীর ঈদের আগে তাদের দম ফেলার সময়ও থাকে না। এ কম সময়ের উপার্জনে সারা বছর চলতে হয় তাদের। তবে এবার এ চিত্র ভিন্ন। কামারশিল্পীদের তৈরী পশু কোরবানীর সরমঞ্জাদি বিক্রির হার খুব কম হওয়ায়, কাজের তাড়া নেই। বিক্রির শঙ্কা নিয়ে কামারশালায় তৈরী করছে কোরবানীর সরমঞ্জাদি। কিন্তু বিক্রি না হলে কি হবে তাদের। সংসার চলবে কিভাবে! এ নিয়ে চরম দুঃশ্চিন্তায় কামার শিল্পীরা। পশ্চিম বোড়াগাড়ী কামারপাড়ার নুরজামাল, আইয়ুব আলী জানান, প্রতি বছর কোরবানীর ঈদে হাতে অনেক বেশী কাজ থাকে। খাবার ও ঘুমানোর পর্যন্ত সময় থাকে না। এবার খুব কম অর্ডান পেয়েছি। পাইকারী ক্রেতারা সিমিতভাবে মাল নিচ্ছে। একই এলাকার আব্দুল জলিল, রায়হান আলী জানান, বছরের ১১ মাস আমাদের হাতে কম কাজ থাকে। কোরবানীর ঈদের আগে এক মাস কাজ করতে করতে দম ফেলারও সময় পাই না। এই এক মাসে যা উপার্জন করি, তা দিয়ে বছরের বাকি সময়টা পরিবারের খরচ চালাই। এবারে হাতে খুব কম কাজ এসেছে। তাই ওর্ডার কম, উপার্জন কম। এবারে বছরের বাকি সময়টা কিভাবে চলবে বুঝতে পারছি না।