বিজ্ঞাপন দিন

ডোমার থানার ওসি’র হস্তক্ষেপ সংসারের ঘানী নয়; স্কুল যাবে তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ববি আক্তার

রতন কুমার রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি: বধুঁবেশে প্রস্তুত তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী অবুঝ শিশু ববি আক্তার। বরযাত্রীও হাজির। চলছে দাওয়া-দাওয়া। কবুল বললেই বিয়ে সম্পন্ন। এরমধ্যেই ঘটে বিপত্তি, হুট করে পুলিশের উপস্থিতি। এতেই সকল আয়োজন পন্ড হয়ে যায়। মুহুর্তেই ফাঁকা বিয়ে বাড়ি। বিয়ে বাড়ীতে আসা অতিথিসহ পরিবারের লোকজন সবাই পালিয়ে যায়। শুধু বর, আর শিশু কনের প্রতিবন্ধী বাবাকে আটক করতে পারে পুলিশ। তাদের ডোমার থানায় নিয়ে আসা হয়। ঘটনাটি নীলফামারীর ডোমার পৌরসভার গোডাউন পাড়া এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটে। ববি আক্তার ওই এলাকার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বদরুল ইসলামে মেয়ে ও শহীদ স্মৃতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী। বর জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর এলাকার কেতাব আলীর ছেলে। জানা গেছে, পৌরসভার গোডাউন পাড়া এলাকার দরিদ্র প্রতিবন্ধী বদরুল ইসলামের মেয়ে ও তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ববি আক্তারের শুক্রবার(৭ আগষ্ট) বিকালে গোপনে বিয়ের আয়োজন করা হয়। ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান খবর পেয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বিয়ে বাড়িতে পাঠায়। পুলিশ উপস্থিত হলে সবাই পালিয়ে গেলেও বর ও কনের প্রতিবন্ধি বাবা বদরুল ইসলামকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রাত নয়টায় দুই পরিবারের সদস্যরা আর কোন দিন শিশু বিবাহের আয়োজন করবে না বলে মুসলেকা দিলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিশু বিবাহের খবর পেয়ে আমি পুলিশ সদস্যদের বিয়ে বন্ধ করার জন্য পাঠাই। দুই জনকে আটক করা হয়েছিল। দুই পরিবার মুসলেকা দিলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, ১০ বছরের ওই অবুঝ শিশুটিকে সংসারের ঘানী টানতে হবে না। শিশু ববিকে লেখাপড়া করানো হবে বলে, আমাকে তার পরিবারের সদস্যরা আশ্বস্ত করেছেন।