বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় ২১ শে আগস্ট উপলক্ষে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশনের বিবৃতি

আবেদ আলী স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর জলঢাকায় ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসে বিবৃতি দিয়েছে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক এনামুল হক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেরীতে হলেও প্রায় ১৪ বছর পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় জাতি পেয়েছে। রায়ে মামলার জীবিত ৪৯ আসামির মধ্যে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও মামলায় সরাসরি সংশ্লিষ্টতার দায়ে ওই ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি বলেছেন, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে আদালত এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, ঢাকার বনানী মডেল টাউনের হাওয়া ভবন বাড়িটি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। ওই ঘটনাস্থলে পলাতক আসামি তারেক রহমান অপরাধ সংঘটনের জন্য ষড়যন্ত্রমূলক সভা করতো এবং জঙ্গি নেতারাও তারেক রহমানের সঙ্গে বিভিন্ন সময় মিটিং করতো। আর সে কারণেই তারেক জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে ফাউন্ডেশনের প্রশ্ন অন্য ষড়যন্ত্রকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও তারেক জিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো না কেন ? বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার রায়ে আদালত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সচেষ্ট ষড়যন্ত্রের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন। আর এ কারণেই তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে আদালত মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। তদন্তে ও আসামিদের জবানবন্দিতে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে শুধু তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর-ই নন, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা বেগম খালেদা জিয়াও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। তিনি নিজেও হামলার আলামত নষ্ট করার আদেশ দিয়েছিলেন এবং ডিজিএফআইকে এ হামলা সম্পর্কে তদন্ত করতে নিষেধ করেছিলেন। তাই ফাউন্ডেশনের প্রশ্ন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সচেষ্ট ষড়যন্ত্রের কারণে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও ওই সময়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বায়ীত্বে থাকা বেগম জিয়াকে ছাড় দেওয়া হলো কেন ? “ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশন” ২০০৮ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধ, আইন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিষয়ে নীলফামারীর জলঢাকাতে নানারকম গবেষণাধর্মী এবং সামাজিক অংশগ্রহণমূলক কর্মকান্ড করে আসছে। ফাউন্ডেশনের দাবী, তারা আইনের শাসনে বিশ্বাসী। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ও আহতদের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ফাউন্ডেশন মনে করে আইন সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিৎ। সুতরাং কোন অপরাধীকেই ছাড় দেয়া চলবে না, তা সে যত বড় নেতাই হোক না কেন। ফাউন্ডেশন এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ প্রত্যাশী।