বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীতে ভিটামিন"এ" ক্যাম্পেইন সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা



আব্দুল মালেক, নীলফামারীঃ আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশের ন্যায় নীলফামারী জেলায় শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন । এরই ফলশ্রুতিতে রোববার বেলা ১১টায় জেনারেল হাসপাতালের সভা কক্ষে সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।  

করোন পজিটিভ বা নেগেটিভ হোক না কেন, ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সের সকল শিশুকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন “এ” প্লাস খাওয়াতে হবে বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির। সিভিল সার্জন আরও জানিয়েছে, শুধুমাত্র শিশুর যদি শ্বাসনালীর অসুস্থতা বা শ্বাসকষ্ট অথবা অন্য কোন মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে থাকে তবে শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানো যাবে না।

তিনি জানান, জেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৯হাজার ৮শত ৮৯জন শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২লক্ষ ৭১হাজার ১শত ৯০ জন শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। 

জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২০ উপলক্ষ্যে রোববার সকালে সাংবাদিকদের অবহিতকরণ সভায় এ সব তথ্য জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে শিশুকে ভিটামিন খাওয়ানোর সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীকে অবশ্যই মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কেন্দ্রে অবস্থানকালে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীগণ ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে নিতে হবে। সংক্রমণের ভয় থাকলে কোন অভিভাবক স্বাস্থ্যকর্মীর নির্দেশনা মেনে নিজ হাতেই কেন্দ্রে বসে তার শিশুকে ভিটামিন খাওয়াতে পারবেন। 

জানা যায়, জেলায় ছয়টি উপজেলায় ৪টি পৌরসভা ও ৬১টি ইউনিয়নে ১হাজার ৫শত ৮৭টি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনে থাকবে ৩১৭৪ জন সেচ্ছসবক। এছাড়াও নারী সুপারভাইজার থাকবে ১৯১জন। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পরিচালক মেজবাহুর হাসান চৌধুরী, মেডিকেল অফিসার আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাদের।


Post a Comment

0 Comments