বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে তদন্ত কমিটি




ফরহাদ ইসলাম.জলঢাকা,নীলফামারী প্রতিনিধিঃনীলফামারীর জলঢাকায় দলিল লেখক সমিতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত কাজ সমাপ্ত করেছে। বুধবার সকাল থেকে বিকাল পযর্ন্ত সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে চলে এই তদন্ত। তদন্ত দলের নের্তৃত্ব দেন ডিমলা উপজেলা  সাব-রেজিস্ট্রার রামজীবন কুন্ড। তদন্ত দলের অন্য সদস্যরা হলেন কিশোরগঞ্জ উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুল্লা-আল-মাসুম ও সৈয়দপুর সাব-রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান। এ সময় জলঢাকা সাব রেজিস্ট্রার মনীষা রায় অফিসে উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত চলাকালে পৃথকভাবে উভয় পক্ষের সাথে কথা শুনেন তারা। জানা যায়, সম্প্রতি জলঢাকার দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আহম্মেদ হোসেন ভেন্ডার ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে দলিলের পিছনের বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করে সমিতির নামে দলিল প্রতি জোড় পূবর্ক  দুই হাজার টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠে। এ ছাড়াও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আহম্মেদ হোসেন সরকার দলের নাম ভাংগিয়ে জলঢাকা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস জীম্মি করে রাখার অভিযোগ উঠে। আর এসব অভিযোগ করেন দলিল লেখক আনিছুর রহমান ও মোস্তাফিজার রহমানসহ কয়েকজন ভুক্তভোগি। এই চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে সাব-রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে দলিল লেখকদের মাঝে দলিল ছেড়াঁসহ হাতা-হাতির ঘটনাও ঘটে। এনিয়ে উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করেন। পরবর্তিতে হাতা-হাতির ঘটনার সুষ্টু বিচার ও চাঁদাবাজী বন্ধের দাবীতে দলিল লেখক আনিছুর রহমান অফিস চত্ত্বরে প্রতিবাদ সভা করেন এবং বিভিন্ন দপ্তরে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। যা ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টোনিক্স মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করে। এর পরিপেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ সাখওয়াত হোসেন। তদন্ত শেষে তদন্ত দলের প্রধান ও ডিমলা সাব-রেজিস্ট্রার রামজীবন কুন্ড বলেন,‘আমরা উভয় পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সম্পন্ন করেছি,তদন্ত শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’ 

Post a Comment

0 Comments