বিজ্ঞাপন দিন

তারাগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা



সিরাজুল ইসলাম বিজয়, তারাগঞ্জ (রংপুর)  প্রতিনিধিঃরংপুরের তারাগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলামকে আটক করা গেলেও পরিবারের লোকজন তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় মেয়ের এক মামাকে পিটিয়ে জখম করায় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শনিবার(৭ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ঘটনাটি ঘটে তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের প্রামাণিকপাড়া এলাকায়। এরপর থেকে ঘটনার নায়ক আশরাফুল ইসলাম এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ওইদিন বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ। ভুক্তভোগি পরিবারের পক্ষে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, নুহ হকের কলেজ পড়ুয়া ছেলে আশরাফুল ইসলাম বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের এক মহিলা কওমী মাদ্রাসার ওই শিক্ষিকা প্রেমের প্রস্তাব দেয়।কিন্তু মেয়েটি এতে রাজি হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত ছিলেন আশরাফুল। মাদ্রাসার যাওয়া আসার পথে আশরাফুল মেয়েটিকে নানাভাবে বিরক্ত করতো। ঘটনার দিন গতকাল শুক্রবার  দুপুরের দিকে অসুস্থজনিত কারণে মাদ্রাসার ওই শিক্ষিকা ওষুধ কেনার জন্য একই এলাকার চিলাপাক বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমথ্যে আশরাফুল ইসলাম তার পথরোধ করে। এক পর্যায়ে সে জানতে চায় তার প্রেমের প্রস্তাসে সে কেন রাজি নয়। এ নিয়ে ওই শিক্ষিকাকে আটক করে বাকবিতণ্ডা শুরু করে। এসময় মেয়েটি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আশরাফুল তাকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।এতে মেয়েটি পরনের বোরকা ছিড়ে যায়। এক পর্যায়ে পরনের বোরকা ছেড়ে দৌড় দেয় সে। এতেও সে রেহাই পায়নি। উল্টো মেয়েটি জাপটে ধরে চড় থাপ্পড় দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। মেয়ের মামা অভিযোগ করে বলেন, ‘মেয়েটি গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিল। ঔষুধ কিনতে যাওয়ার পথে তাকে আটক করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় আশরাফুল। তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধের চেষ্টা করা হয়। ঘটনাটি জানার পর প্রায় এক কিলোমিটার দুর থেকে মোটরসাইকেল দিয়ে ধাওয়া করে আশরাফুলকে আটক করা হয়। কিন্তু তার স্বজনরা খবর পেয়ে আমাকে পিটিয়ে আহত করে আশরাফুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এখন প্রভাবশালী আশরাফুলের ভয়ে হতদরিদ্র মেয়ের বাবা থানায় মামলা করতে ভয় পাচ্ছেন।’হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বাবুল জানান, এ ঘটনায় মেয়ের পরিবারকে থানায় মামলা দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।মাদ্রাসার মুহতামিম (সুপার) আব্দুস সাত্তার বলেন, অসুস্থ থাকার কারণে মেয়েটি ছুটিতে ছিল। সে খুবই ভদ্র ও নম্র স্বভাবের।উপ-পরিদর্শক(এসআই) আসাদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। বাড়ির লোকজনকেও আশপাশে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি মেয়েটির পরিবারকে থানায় গিয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। তারাগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। মামলা হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত যুবককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হবে।

Post a Comment

0 Comments