বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় ধানের উৎপাদন কম হওয়ায় কৃষকের হতাশ



রাশেদুজ্জামান সুমন, জলঢাকা নীলফামারী প্রতিনিধি:নীলফামারীর জলঢাকায় রোপা আমন ধানের উৎপাদন কম হওয়ায় হতাশ হয়েছে কৃষকেরা। গতবারের তুলনায় উৎপাদন এবার অর্ধেকে নেমে এসেছে, অন্যদিকে দাম ওঠা নামা করায় মরার উপর খাড়ার ঘা অবস্থা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, গেল রোপা আমনে আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ২২হাজার ৯শত ১ হেক্টর জমিতে। আর অর্জিত হয়েছে ২২হাজার ৮শত ৬০ হেক্টর জমিতে। ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭৩ হাজার ৩শত ১২ মেট্রিক টন। আর অর্জিত হয়েছে ৬৫হাজার ৮শত ৪০মেট্রিক টন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা সার, বীজ, নিরানি, কীটনাশক সবকিছু ঠিক মতো প্রয়োগ করেছে তারপরও ধান অনেক কম উৎপাদন হয়েছে। কৈমারীর গাবরোলের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবারে আমার বিঘা প্রতি ১৫ মণেরও বেশি ধান উৎপাদন হয়। সেই তুলনায় এবার অর্ধেক ধানও হয় নাই। আবার ধানের দাম কখনো নয়শত টাকা আবার কখনো সাড়ে নয়শত টাকা ওঠা নামা করছে। দাম নিয়েও টেনশনে আছি। বালাগ্রামের কৃষক আহম্মেদ হোসেন জানান, গতবার যেমন সার, বীজ, নিরানি, কীটনাশক যেভাবে প্রয়োগ করেছি এবারও একিরকম ভাবে দেওয়ার পরেও কাঙ্খিত ফসল পাইনি। মনে হচ্ছে গতবারের তুলনায় এবার অর্ধেক ধান কম হয়েছে। এগুলো ধান খাবো না বিক্রি করবো সেটাই ভাবছি। আবার ইরি বোরো ধান আবাদ করতে হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহ্ মোঃ মাহাফুজুল হক জানান, এবার আমনের সময় পরপর তিনবার বন্যা হওয়ার কারনে ধানের উৎপাদন অনেকাংশে কমে গেছে। বৃষ্টির সময় ধান প্রয়োজনীয় খাবার খেতে পারেনি একারনে পরিপূর্ণভাবে ফসল ফলেনি।


Post a Comment

0 Comments