বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় জাপা এমপির আসনে ৪২টি ভোট পেলেন লাঙ্গল

রবিউল ইসলাম রাজ,বিশেষ প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলায় জাতীয় পার্টির আসনে জলঢাকা পৌরসভা নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী আফরোজা পারভীন (লাঙ্গল প্রতীক) ভোট পেয়েছেন ৪২টি। এনিয়ে উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি জাপা নেত্রী আফরোজা পারভীনের হাতে লাঙ্গলের মনোনয়ন তুলে দেন। দলীয় প্রতীকের প্রার্থী থাকার পরেও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক এবং জলঢাকা আসনের সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কোন রকম প্রচার প্রচারণা করতে দেখা যায়নি। তিনি নির্বাচন বিষয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের কোন রকম নির্দেশনাও দেয়নি। দলীয় অনেক নেতা-কর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন।ফলে,জাতীয় পার্টির আসনে দলীয় প্রার্থী ভোট পেল ৪২। বিভিন্ন মহলের লোক মূখে শুধু একই কথা,বর্তমানে একজন জাতীয় সংসদ সদস্য থাকার পরেও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর ভোট পায় মাত্র ৪২। এমন ফলাফলে এরশাদ প্রেমীদের হৃদয়ে আঘাত এনেছে ত্যাগিনেরা জানান। এ কারনে জাপার অনেক নেতাকর্মী আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ পারভেজ তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, "নীলফামারী জেলার জলঢাকা পৌর নির্বাচনে জাতীয়পার্টির মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ভোট পেলেন ৪২টি। তিনি আরও লিখেছেন,নীলফামারী জেলায় কিছু চিহ্নিত ঋৎধঁফ দলের ঐতিহ্যকে বিলীন করলো আজ। দলের মাননীয় চেয়্যারম্যান মহোদয়কে দৃষ্টি রাখার জন্য উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।সেই সাথে ব্যর্থ নেতৃত্বের পদত্যাগ দাবি করছি"। এখানে কমেন্ট বক্সে অনেক দলীয় নেতাকর্মী মনের দুঃখে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন।উল্লেখ্য,বাংলাদেশের প্রধান তিন দলের দলীয় প্রতীককে পরাজিত করে জলঢাকা পৌরসভা নির্বাচনে ১৪ হাজার ৭ শত ৯৮ ভোট পে‌য়ে নাগরিক সমাজের মনোনীত মেয়র প্রার্থী (স্বতন্ত্র) ইলিয়াস হোসেন বাবলু (নারিকেল গাছ) বেসরকারিভা‌বে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরী (ধানের শীষ) ১০ হাজার ৬ শত ৮ ভোট। এ ছাড়া আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মো: মোহসীন (নৌকা প্রতীক) ৭৬৫, জাপার প্রার্থী আফরোজা পারভীন (লাঙ্গল প্রতীক) ৪২,স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আকতার মোবাইল (ফোন প্রতীক) ১২২ এবং জিয়াউর রহমান চৌধুরী (জগ প্রতীক) ৫৮৫ ভোট পেয়েছেন। গত ৩০ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ১৫ টি কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলার বাহিনীর কড়ানজর থাকায় কোথাও কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি? নির্বাচন পুরোপুরি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়,জলঢাকা পৌরসভা মোট ৯ টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণে ১৫ টি কেন্দ্রের ১ শত বুথে বিভক্ত করে ১৫ জন প্রিজাইডিং,১ শত সহকারী প্রিজাইডিং ও ২ শত পুলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছিল। পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৬ শত ৩৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৯ শত ২১ জন, মহিলা ভোটার ১৬ হাজার ৭ শত ১৩ জন। প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। ভোট কেন্দ্রগুলো জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান বি.পি.এম – পি. পি. এম. এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান নয়ন,থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান ভোট চলাকালীন সমস্ত কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

Post a Comment

0 Comments