বিজ্ঞাপন দিন

আকষ্মিক বন্যায় দিশেহারা শৌলমারীবাসী



ফরহাদ ইসলাম জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃআকষ্মিক বন্যায় নীলফামারীর জলঢাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নবাসী। বুধবার (২০ অক্টোবর) ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বি.এস.সি পাড়া এলাকায় প্রায় ২’শ মিটার বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে কয়েকটি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ সবকটি গেট খুলে দেওয়ায় পানির স্্েরাতে শৌলমারীসহ ৮ জায়গায় বাঁধ ভেঙ্গে যায়। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে শৌলমারী ইউনিয়নের বি.এস.সি পাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,ওই এলাকার হযরত আলীর স্ত্রী কাজলী বেগম (৩০) বাঁধের উপর অস্থায়ী একটি চুলায় ভাত রান্না করছেন। কাজলী জানায়,‘‘বুধবার বিকেল ৪ টার দিকে হঠ্যাৎ বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে আমাদের বাড়ী ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। ঘরের মেঝের মাটিও চলে গিয়েছে পানির স্্েরাতে। বিছানা বালিশ আর থালাবাসন ছাড়া আর কিছুই আনতে পারিনি।’’ কাজলীর মত অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিছে বাঁধের উপর। এছাড়াও পানিবন্দি পরিবারগুলো জীবন বাঁচার তাগিদে কেউবা আশ্রয় নিয়েছেন উচুঁ এলাকায় আর কেউবা নিকটতম আত্মীয়দের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়াও বাঁধ ভাঙ্গার এলাকায় অনেক ধানের জমি ডুবে গিয়েছে। এ বিষয়ে শৌলমারী ইউ’পি চেয়ারম্যান প্রাণজিৎ কুমার রায় পলাশ বলেন,আজকে (২১ অক্টোবর) ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ৩৫০ পরিবারকে পরিবারপ্রতি ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে এবং পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্থ সকল পরিবার এ সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি শুকনো খাবারের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করাও হয়েছে।’’ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল হক বলেন,‘‘ প্রথম অবস্থায় ৩৫০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে,চেয়ারম্যান তালিকা দেওয়ার পর সকল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারই এ সহায়তা পাবেন।’’ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়,শৌলমারীতে বাঁধ ভাঙ্গার এলাকায় এখন পর্যন্ত ৬০ হেক্টর ধানের জমি পানিতে ডুবে আছে,দ্রুত পানি কমলে কম ক্ষতি হবে।’’ 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন,‘‘ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা হচ্ছে,আশাকরি সকলেই সহায়তা পাবেন।



Post a Comment

0 Comments