বিজ্ঞাপন দিন

অকুতোভয় রোজিনার গল্প



কিশোরগঞ্জ নীলফামারী প্রতিনিধিঃ কথায় আছে যে রাধে সে চুলও বাধে।  অভাবের সংসারের ছেলের স্কুলের খরচ ,ইনজিওর  সাপ্তাহিক কিস্তির খরচ। এর পরও প্রতিবেশীর আপদে বিপদে পাশে দাঁড়ানো সবকিছু সামলে এবার নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ  উপজেলার নিতাই ইউনিয়ন পরিষদের ১,২,ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মহিলা সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রোজিনা বেগম।

নিতাই  ইউনিয়নের মুশরুত পানিয়াল পুকুর গ্রামের তরিকুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনা বেগম। ২০০৫ সালে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করেন একই গ্রামের বেকার তরিকুলকে।বিয়ের পর চরম অভাবে মধ্যে পতিত হয় ওই দম্পতি ।স্বামী তরিকুল ইসলাম রুটির তন্দুরে শ্রমিক হিসাবে কাজ শুরু করেন।স্বামীর রোজগারেও অভাব যেন কিছুতেই সারছিল না।রোজিনা তখন বাধ্য হয়ে ওয়ার্ল্ড ভিশনের লাভলী হুড প্রোগ্রামের  সদস্য হন।সেখান থেকে তিনি একটি বকনা গরু নিয়ে পালন করেন। ওই গরু থেকে তার তিনটি গরু হয় । এছাড়াও তিনি এসডি এফ এর ক্যাশিয়ার নির্বাচিত হন।তখন একটু একটু করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরতে  শুরু করে। এসময় তিনি স্বামীকে রুটির তন্দুর থেকে নিয়ে এসে একটি ইজিবাইক কিনে দেন।স্বামীও প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা রোজগার করতে থাকেন।এ ব্যাপারে কথা হলে রোজিনা বেগম জানায় ,বিয়ের পর পারিবারিক অসন্তোষ আষ্টে পিষ্টে বেধেছিল।ওই সময় আবার প্রথম সন্তানের জম্ম। অভাবের তারনায় দিশেহারা হয়ে পরেছিলাম ।না পারছিলাম বাবার সংসারে ফিরতে , না পারছিলাম স্বামীকে ছাড়তে । শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা।আমার সাংসারিক অবস্থায়ই যখন ভাল নয় প্রতিবেশীদের নানা সমস্যা আমার বিবেককে নাড়া দেয়। একজন মানুষের সমস্যায় আর একজন মানুষ পাশে দাড়ানোকে দায়িত্ববান  মনে করে তাদের সমস্যা লাঘবে চেস্টা করি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সফল ও হয়েছি । এভাবে আমার কাজ কর্মের কথা এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ২০২১ সালে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে আমাকে জয়িতা নির্বাচিত করা হয়। জয়িতা নির্বাচিত হওয়ার পর ওই গ্রামবাসীরাই আমাকে গত নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা পদে দাড়ানো উৎসাহ দিয়ে বিপুল ভোটে  নির্বাচিত করেন।


Post a Comment

0 Comments