বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে চলছে শিল্পীদের প্রতিমা তৈরির কাজ

আবেদ আলী স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর জলঢাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। গোটা উপজেলা জুড়ে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে। কারিগরদের যেন দম ফেলার সুযোগ নেই আর কয়েকদিন গেলেই প্রতিমার গায়ে পড়বে রঙের আঁচড়। জলঢাকা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড উত্তর চেরেঙ্গা অনিল বিশ্বাসের বাড়িতে সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, এই মন্দিরের ভেতরে এখন শোভা পাচ্ছে ছোট-বড় প্রতিমা। বাঁশ-কাঠ, খড় আর কাদা মাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমাগুলো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সনাতন ধর্মের লোকজন। শনিবার দুপুরে ওই মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত ঢাকা থেকে আগত বেশকয়েকজন মৃৎশিল্পী। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে প্রতিমা তৈরি করে আসছেন রতন পাল (৫২)। তিনি বলেন, আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজা থেকে মন্ডপে মন্ডপে বেজে উঠবে ঢাকঢোল আর কাঁসার শব্দ। ৫ অক্টবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এই দুর্গোৎসব উৎসব। প্রতিমা তৈরির শিল্পী রতন পাল, প্রায় মাস খানেক আগে থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত কয়েকটি প্রতিমা সেট তৈরি হয়েছে তার। প্রতি সেটে দুর্গার সঙ্গে থাকে অসুর, সিংহ, মহিষ, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক ও লক্ষ্মী প্রতিমা। তিনি বলেন, আগে একটা প্রতিমা সেট তৈরি করতে খরচ হতো ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু এখন বাঁশ, কাঠ, কাদা মাটিসহ প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম অনেক বেশি। তাই প্রতি সেট প্রতিমা তৈরিতে খরচ হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার করে টাকা। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য প্রভাষক অবিনাশ রায় বলেন, গত বছর পৌরসভা সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৭৬টি মন্ডপে দুর্গাপূজা হয়েছে। এবার ১১টি বেড়ে ১৮৭টি মন্ডপে এই পূজা হবে। এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হচ্ছে গজে (হাতি) যার অর্থ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, শস্যপূর্ণ হবে বসুন্ধরা, দেবী দুর্গা কৈলাসে ফিরবেন নৌকায় যার অর্থ শস্য বৃদ্ধি ও জল বৃদ্ধি হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালীন নিরাপত্তার ব্যাপারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবধরণের সহযোগিতা কামনা করেন ভক্তরা। জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ কবির বলেন, এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল আছে এবং থাকবে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা যেন ঘটতে না পারে সেজন্য পুলিশী নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হবে এবং মন্ডপগুলো মনিটরিং করা হবে। আমাদের প্রত্যেক ইউনিয়নের বিট অফিসাররা সার্বক্ষণিক টহলে থাকবেন এবং মন্দির কমিটির লোকজনদেরও যেকোন সমস্যায় যোগাযোগ রাখতে বলা হবে। প্রত্যোকটা মন্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যোগাযোগ নাম্বার ঝুলিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।

Post a Comment

0 Comments