বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকার নদী গুলো নাব‍্যতা হারিয়ে ফসলের জমি হয়েছে



রাশেদুজ্জামান সুমন জলঢাকা,নীলফামারী, প্রতিনিধি:নদীমাতৃক বাংলাদেশের সব জায়গায়র মতো নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে অন্তত ১০টি নদী। কিন্তু দখল, দূষণ ও নাব্যতা হারিয়ে এসব নদীগুলো মরা খালে পরিণত হয়ে মানচিত্র থেকে হারিয়ে  যেতে বসেছে । এখন এগুলো জায়গা দখল করে বিভিন্ন ফসল আবাদ করা হচ্ছে। উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা নদীগুলো দিয়ে একসময় বিভিন্ন স্থান থেকে পন্য সামগ্রী  আমদানি  রফতানি করা হতো। বর্ষা কালে  শ‍্যলো মেশিন  চালিত নৌকা চলাচল দেখা গেলেও এখন দেখা যাচ্ছে  উল্টো চিত্র। বর্তমানে নদী সমুহের বুকে ধু ধু বালু চরে পরিনত হওয়ায়  নেই আগের মতো জলরাশি।অপরদিকে নদীগুলোর নেই আর গর্জন।  দখল দুষন,আর নাব্যতা হারিয়ে নদী সমুহ বিলিনের পথে । উপজেলার  কৈমারী ইউনিয়নের বড়ঘাটে বুল্লাই নদী  শৈলমারী,ডাউয়াবাড়ী, দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়ি তিস্তা নদী ,শিমুলবাড়ী,খুটামারা ইউনিয়নে ধাইজান সহ বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে থাকা নদীগুলো প্রভাবশালীদের দখল রয়েছে।খননের অভাবে মরা নদীগুলো পরিণত হয়েছে  বালুচরে । ফলে কৃষিনির্ভর এলাকা হিসেবে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। বর্ষাকালে বন্যার পানি আটকে থাকায দুর্বিসহ জীবনযাপন করেন নদীপাড়ের মানুষজন। বর্তমান  সেচ মৌসুমে নদীতে পানি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় কৃষকদের।গাবরোল গ্রামের কৃষক সুবহান মিয়া জানান, বুল্লাই নদী থেকে পানি দিয়ে আগে ফসল ফলাতাম কিন্তু নদী ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়ায় সেই ব্যবস্থা এখন আর নেই।শিক্ষক আবুল কালাম জানান, নদীগুলোকে বাঁচাতে হলে নদীর সীমানা নির্ধারণ ও খনন করা জরুরি। উপজেলায় বুল্লাই, চারালকাটা যমুনেশ্বরী,ধামজাই, চিকলি,ইছামতী  সহ অন্তত ১০টি নদী রয়েছে। আর পানি শুন্য এই নদীগুলোর বুকে এখন কৃষকেরা দখল করে ধানের চারা রোপণ, সহ বিভিন্ন  কৃষিপণ্য চাষাবাদ করছেন। ফলে নদী সমুহ নাব্যতা  হারিয়ে পরিনত হয়েছে ফসলের জমি।আরও এ নদীগুলোয় অনেকে ঘের দিয়ে পানি আটকে মাছ চাষ করেন।গত কিছুদিন ধরে  সরেজমিন ঘুরে প্রায় সব নদীর একই চিত্র দেখা গেছে। এতে একদিকে যেমন ফসলে সেচের অভাব দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশীয় মাছ। কৈমারী ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুল সিদ্দিক সাদেক  বলেন ভরাট হয়ে যাওয়া  নদী সমুহ খনন করা হলে এ এলাকার  কৃষকরা অনেক উপকৃত  হতো। তাই নদী সমুহ পুনঃ খনন করার দাবী জানান। উপজেহলা নির্বাহী অফিসার মইনুল ইসলাম জানান, উপজেলার  নদী সমুহ খননের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, আশা করছি খনন করা সম্ভব হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া বিভাগীয় প্রকৌশলী  বলেন, সারা দেশের মতো এ জেলার নদী সমুহ একসঙ্গে খননের প্রকল্প দেওয়া হয়েছে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে। 


Post a Comment

0 Comments