বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র তাপদাহে পুড়ছে।।আমনের চাষে ব‍্যাঘাত

 


রাশেদুজ্জামান সুমন জলঢাকা নীলফামারী প্রতিনিধি  :নীলফামারী জলঢাকায় ভরা মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে। সূর্যের প্রচণ্ড তাপে ক্ষেতের মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। জমিতে পানি না থাকায় আমন চাষের ব‍্যাঘাত ঘটেছে। কেউ কেউ  সেচযন্ত্র দিয়ে পানি দিয়ে আমনের চারা লাগাচ্ছ। মাঝে  মাঝে  আকাশে কালো মেঘের ঘনঘাটা থাকলেও বৃষ্টির পরশ থেকে বঞ্চিত মৃত্তিকা। তাই সহসাই ভারি বৃষ্টি না হলে আমন ধানে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন কৃষককূল। কৃষি অফিস জানিয়েছে আমন ইরির লক্ষ্যমাত্রা ৬০ ভাগ অর্জিত হয়েছে শুধু সেচের অভাবে। জানা গেছে ভরা বর্ষায় এক মাষেরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টি হীন এই এলাকা।দিনে কাটফাটা রোদ আর রাতে ভ‍্যাবসা গরম মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে লক্ষ্য করা গেছে।ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির। আমনের লাগানো চারা চুনিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমন ইরির উপযুক্ত সময় হওয়ার কারণে শ‍্যালো মেশিন, সেচমাম্পের মাধ্যমে পানি দিয়ে রোয়া রোপন করছে কৃষকেরা। মীরগন্জ ইউনিয়নের কালকেউট এলাকার কৃষক লুৎফর রহমান জানান জমিতে পানি না থাকার কারণে চারা লাগাতে পারছি না। চারার বয়সও বেশি হয়ে যাচ্ছে। বেশি বয়সের চারায় ধান ভালো হয় না। কাঠালীর কৃষক বাদল জানান বৃষ্টি না হওয়ায় দুই বিঘা জমিতে শ‍্যালো দিয়ে চারা লাগিয়েছিলাম। একমাস ধরে এখনো শ‍্যালো দিয়েই পানি দিতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে খরচ অনেক বেরে যাবে। বাকি জমিতে যে কিভাবে চারা লাগাবো? কৈমারি ইউনিয়নের কৃষক রোকোনুজ্জামান সাগর জানান রোদ আর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি শ্রাবণ মাসেও পানি নেই। ১৫ বিঘা জমির মধ্যে পাচ বিঘা জমিতে বীজতলা লাগিয়েছি মটর দিয়ে পানি দিয়ে। বাকী জমি বৃষ্টির পানি ছাড়া লাগনো সম্ভব না। আল্লাহ্ দেখি কবে পানি দেয়। উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন আহমেদ জানান  জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে আগষ্টের ১০ তারিখ পযর্ন্ত আমনের চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। সঠিক সময়ে চারা লাগাতে না পারলে ধানের উৎপাদন অনেক কম হয়। এবারে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ হাজার দুইশত ৫০ হেক্টর। এর মধ্যে ৬০ ভাগ অর্জিত হয়েছে। বৃষ্টির পানি থাকলে এতদিনে শতভাগ অর্জিত হতো।

Post a Comment

0 Comments