বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় এতিম শিশুদের কোরআন শিক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন ডা. আনোয়ার

জল ডেস্ক: ববিতা আক্তার বয়স দশ। বাবা নেই, মাও নেই। বাড়ী জলঢাকার কাঁঠালী ইউনিয়নের পশ্চিম কাঁঠালীতে। ৬ মাস আগে প্রতিবেশিরা রেখে যান এখানে। শুধু ববিতা সহ লিমা আক্তার, শারমিন আক্তারদের মধ্যে কারও বাবা ও মা নেই। এরকম প্রায় ৪০ জন শিশু আশ্রিত আছে জলঢাকার মধ্য কাজিরহাট বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসা এতিম খানায়। প্রতিদিন নিয়মিত সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৬ জন শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করা হয়। এখানে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত কোরআনসহ সাধারন বিভাগে শিক্ষা দেয়া হয়। কোরআন ও কম্পিউটার শিক্ষার পাশাপাশি নানাবিধ কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে ১ বিঘা জমির উপর নির্মিত প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন, ডা. মো. আনোয়ার হোসেন, প্রথমে ৩০ জন শিশু নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে চালু হলে ৪ বছরের মাথায় অনাবাসিকসহ ১০০ জন ছাত্রী ছাড়িয়েছে। নিজ খরচে আশ্রিত মেয়ে শিশুদের শিক্ষাসহ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালাতে কষ্ট হলেও এদের সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করাই এ প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্য। বিভিন্ন সমস্যার মধ্যেও মাদ্রাসাটিতে বিদ্যুৎ থাকলেও বৈদ্যুতিক পাখা না থাকায় এ তাপদাহ সহ্য করেও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। বেঞ্চ নেই তারপরেও থেমে নেই শিশুদের কার্যক্রম তারা মেঝেতে বসে লেখাপড়া করছে। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মো. আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে। শুরুর দিকে ছাত্রীর সংখ্যা কম থাকায় প্রতিষ্ঠানটি চালাতে সমস্যা হত না। কিন্তু বর্তমানে ছাত্রী সংখ্যা ও শিক্ষক সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিমাসে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার প্রয়োজন। এ অবস্থায় দেশের বিত্তবান, সমাজ সেবিদের ও দাতব্য দেশী বিদেশী সংস্থা যদি এই এতিম কন্যাদের প্রতি সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে তাহলেই এরা ফিরে পেতে পারে একটি সুন্দর জীবন।