বিজ্ঞাপন দিন

খোলা আকাশের নিচে কোটি টাকার খনিজ সম্পদ



সুমন মূখাজী নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদী হতে ডিমলা থানার ওসির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের সংবাদ প্রকাশ হলে। অবৈধ কিছু পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও। অজ্ঞাত কারনে তিস্তা নদী হতে উত্তোলন করা কোটি টাকার খনিজ সম্পদ পাথর খোলা আকাশের নিচে পরে থাকলেও তা জব্দ করছেন না স্থানীয় প্রশাসন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত প্রায় ৬ মাস যাবত গয়াবাড়ী ইউনিয়নের নুরল হকের পুত্র মোঃ রাসেল সরকার এলাকার সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে ওসির সাথে আতাত করে কোন প্রকার বৈধ অনুমতি ছাড়াই তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছেন। বিনিময়ে ওসির অনুমতি প্রাপ্ত অবৈধ মেশিন মালিকদের নিকট প্রতিনিধি হিসেবে চুক্তির টাকা উত্তোলন করছেন। আর ওসি সাহেব ২/১ দিন পর পর রাতের আধারে ওই প্রভাবশালী নেতার বাড়ীতে গিয়ে অবৈধ টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে আসছেন। তার অবৈধ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় গত ১৪.১০.২০১৫ ইং চার জনের বিরুদ্ধে ডিমলা থানার মামলানং-১২ দায়ের করেন। পরবর্তিতে নিজের অপকর্ম ঢাকতে সু-কৌশলে লোক দেখানো অবৈধ মেশিন চালানোর মূলহোতা রাসেল সরকারকে ১ নং আসামী করে নিরিহ এবং অসহায় নিরাপরাধ ৯ জনসহ ডিমলা থানার মামলা নং-৩,তারিখ ৬.৮.২০১৬ইং দায়ের করলেও। রাসেল সরকারের বাড়ী সংলগ্ন গয়াবাড়ী ইউনিয়নের (দুটি স্পটে)ঘোড়ামারা রোড ও ডালিয়া রোডে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাকে উত্তোলন করা প্রায় ৫০ হাজার সেপ্টি খনিজ সম্পদ (পাথর যার বাজার মুল্য কোটি টাকার ওপরে) স্তুপ করে রাখা হলেও তা জব্দ করছেনা স্থানীয় প্রশাসন। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তরিঘরি করে প্রকাশ্যে চুরিকৃত খনিজ সম্পদ ট্রাকে লোড দিয়ে অন্যত্র সড়িয়ে ওই নেতা। অপর দিকে একটি মহল বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য কোন প্রকার প্রমান ছাড়াই অনুমানের ওপর স্থানীয় সংসদ সদস্যের পুত্র আশরাফুল ইসলাম জুয়েল জামাতা কামরুল ইসলাম ও ভাতিজা ফিরোজের নামে একের পর এক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে এমপি পুত্র জুয়েল তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর উত্তোলনতো দূরের কথা পাথরের মেশিন কি রকম সেটাই আমি জানিনা। তিনি বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন,  কে বা কাহারা পাথর উত্তোলন করছে তা আমি সহ আমার আতীয় স্বজনরা কিছুই না জানলেও একটি মহল নিজস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে আমাদের নামে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে যা ভিত্তিহীন। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি রাসেল সরকারের অবৈধ পাথরের স্তুপ এর সু-নিদৃষ্ট প্রমান দিলেও। এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, তিস্তা নদী হতে পাথর বালু উত্তোলন করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। উত্তোলনকৃত অবৈধ পাথর জব্দ করার বিষয়টি থানা পুলিশের। ডিমলা থানার ওসি রুহুল আমীন খানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বলেন,স্তুপ করা পাথর গুলি যে রাসেল সরকারের তার কোন সু-নিদৃষ্ট প্রমান না থাকায় তা জব্দ করা হচ্ছেনা।