বিজ্ঞাপন দিন

দিনমজুর সংকটে কৃষকেরা পড়েছে বিপাকে

মোঃ হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান, নীলফামারী প্রতিনিধি ঃ নীলফামারী অঞ্চলে কৃষকরা এবার প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশী ফসল ফলিয়েও শেষ পর্যন্ত তা ঘরে তুলতে পারবে কিনা এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে জমির ধান পাকা ও কাটা মাড়াইয়ের কাজ শুরু হলেও দিন মজুরের অভাবে অনেক কৃষক তাদের ধান ঘরে তুলতে পারছে না । 
দিন মজুররা এখন জামাই আদরে দিন পার করছে। তাদের মূল্য চলছে আকাশ ছোয়া। ৪শত থেকে ৫শত টাকায়ও বর্তমানে একজন দিনমজুর পাওয়া দুস্কর হয়ে দাড়িয়েছে। এ অবস্থায় কৃষক পরিবারের সদস্যরাই নেমে পরেছে পসল কাটা মাড়াইয়ের কাজে। 
জলঢাকা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে , বোরো মৌসুমের শুরুতেই চারা ও বিভিন্ন কারনে সেচ সংকট দেখা দিলেও ইরি বোরো আবাদে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উচ্চ ফলনশীল ধান, ব্রী - ২৯, হাইব্রীট,হিরা-২, এসিআই-২, আটাশ (২৮) ধান জাতের সবচেয়ে বেশী ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার ১শত হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হলেও ৩৩হাজার ৪শত হেক্টর ও স্থানীয় জাতের বোরো আবাদ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে গত বছরের চেয়েও এবারের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। পাশা পশি গম, ভূট্টা খাদ্য শষ্য উৎপাদন যথেষ্ট আশা ব্যঞ্জক।
 গ্রামীন অর্থনীতির অনেকাংশ বোরো ফসল উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল। কৃষকদের এখন একটাই প্রার্থনা যাতে কোন রকম প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে ফসলের ক্ষতি না হয়। এবিষয়ে কৃষকেরা এ প্রতিবেদককে জানান, পর্যায়ক্রমে বিকল্প পন্থায় জমিতে পোকা দমন ও কীটনাশক ব্যবহারে একটি নতুন মাত্রার যোগ হয়েছে। উপজেলাটির গ্রাম গঞ্জের মাঠে মাঠে এখন পরিপুর্ন শীষে নুয়ে পরা ধান গাছে পাক ধরেছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ । তাই শুরুতেই মজুর সংকটে পড়েছে কৃষকরা। গাবরোল এলাকার জান্নাতুল ফেরদৌস মানিক জানান, মজুরেরা বাড়তি আয়ের আশায় ধান কাটতে দেশের দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় চলে যাওয়ায় উপায়ন্তর না পেয়ে বাড়ীর বৌ ঝি আর সন্তানদের নিয়ে ক্ষেতের মাঠে আর ধান মাড়াইয়ের কাজে নেমে পড়েছে।