বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় স্বশুরের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগে থানায় এজাহার এলাকায় তোলপাড় 15.05.2016

ভ্রাম্যমান সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর জলঢাকায় স্বশুরের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগে থানায় এজহার করায় এলাকায় তোলপাড়া সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নে ৪নং পূর্বশিমুলবাড়ী গ্রামের মৃতঃ চুলিয়া মফিজের পুত্র সাইফুল ইসলাম এসলাম চৌকিদার (৫০) এর বিরুদ্ধে তার নিজের পুত্র বধু বাদী হয়ে থানায় শ্লীলতাহানির এজহার করার অভিযোগ পাওয়া যায়। 
সরেজমিনে, একই ইউনিয়নে কালকেওট শেখ পাড়া গ্রামের তোজাম্মেল হকের মেয়ে এসমোতারা বেগম এর সহিত চৌকিদার সাইফুল ইসলামের বড় ছেলে রাশিদুল ইসলামের সহিত পারিবারিক আলোচনায় গত ৫/৬ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। আরও জানা যায়, ওই চৌকিদারের তিন ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে, এক ছেলে ও এক মেয়ে ছাড়া সকলের বিবাহ হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, গত ৩ মে/১৬ইং মঙ্গলবার দুপুর বেলা শ্লীলতাহানির চেষ্টার যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে সে সময় বাড়িতে তার পরিবারের লোকজন সকলেই উপস্থিত ছিল। 
পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, নিজের পুত্র বধু হয়ে স্বশুরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি করেছে সেটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। চৌকিদার এসলাম সাংবাদিককে জানায়, ঘটনার দিন সাংসারিক বিষয়ে সামান্য কথা কাটা- কাটি হয় এবং তারই প্রেক্ষিতে পুত্রবধু এসমোতারা পাশেই চৌকিদারের শ্যালক অলিয়ারের বাড়িতে চলে যায় এবং সেখানে থাকে। 
সে আরও জানায়, অলিয়ারের বাড়িতে থাকাকালীণ সময়ে পুত্রবধু এসমোতারা ও তার লোকজনের মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য স্বশুরের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। চৌকিদার দাবীকৃত টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানাইলে, ঘটনার ছয় দিন পর সে নিজে নিজে জখম হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে ফাঁসানোর জন্য জলঢাকা হাসপাতালে ভর্তি হয়। 
এসমোতারা বেগম বাদী হয়ে তার স্বশুর ও অলিয়ারসহ চার জনকে আসামী করে থানায় একটি এজহার করে। তিনি (চৌকিদার এসলাম) ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন।