বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীর পাঁচ ইউপিতে পরিবারতন্ত্র ভোট যুদ্ধ!!!!

জল ডেস্ক :চতুর্থ দফায় আজ শনিবার (৭ মে) ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এই নির্বাচনে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলা ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পিতাপুত্র, স্বামী স্ত্রী ও দুই পুত্র এবং জামাই শ্বশুড় ও ডোমার উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে দুইটিতে আপন চাচা ভাতিজা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী হয়ে ভোট যুদ্ধে লড়ছেন। কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নে ১০জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এরমধ্যে একটি পরিবারের স্বামী,স্ত্রী ও দুই পুত্র রয়েছে। তারা সকলেই আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী। এরা হলো ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ে ফজলার রহমান (ঘোড়া), তার স্ত্রী জিন্নাতুন নেছা মোটরসাইলে) দুই পুত্রের মধ্যে আবু সাজ্জাদ মোস্তফা কামাল (চশমা) ও আবু হেনা মোস্তফা জামান (আনারস) অপর দিকে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নে ৫ জন চেয়ারম্যান প্রাথীর মধ্যে পিতা পুত্র প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। পিতা আজহার আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ঘোড়া প্রতিকে ও পুত্র বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সায়েম জাতীয় পাটির ব্যানারে লাঙ্গল প্রতিকে। কিশোরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ৬জন চেয়ারম্যন প্রাথীর মধ্যে এখানে শ্বশুড় জামাইও রয়েছে। জামাই আনিছুল ইসলাম আনিছ আওয়ামী লীগের সদস্য হয়ে নৌকা প্রতিকে এবং আপন চাচা শ্বশুড় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে দলের বিদ্রোহী হিসাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মোটরসাইকেল প্রতিকে লড়ছেন। উল্লেখ যে আব্দুর রাজ্জাক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুলের আপন ছোট ভাই ও আনিছুল ইসলাম আনিছ তার আপন মেয়ে জামাই। ডোমার উপজেলার পাঙ্গা-মটুকপুর ইউনিয়নে ৮ চেয়ারম্যান প্রাথীর মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী চাচা আব্দুল হাকিম ভুট্টু (চশমা) ও তার ভাতিজা স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুজ্জামান বাবলু (মোটরসাইকেল) প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। অপর দিকে এই উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ৬ প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী চাচা ফজলুল হক সরকার (মোটরসাইকেল) ও তার আপন ভাতিজা তৌহিদুল ইসলাম জাতীয় পাটির ব্যানারে (লাঙ্গল) প্রতিকে লড়ছেন। মজার বিষয় প্রতিদ্বন্দি এসকল প্রার্থীরা সকলে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী হলেও ভোটাররা হয়েছেন বিব্রত। কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউপির এলাকাবাসী জানায় এর আগের ইউপি নির্বাচনে স্বামী ও স্ত্রী দুইজনই প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ছিল। এবার দুই পুত্র যোগ হয়েছে। কোন পারিবারিক দ্বন্দ বা জমিজমা নিয়ে বিবাদ তাদের মধ্যে কিছুই নেই। তারা মিলে মিশে একই বসতভিটায় বসবাস ও একই হাড়ির রান্নার ভাত খেয়ে থাকেন। তবে পরিবারের চার জন প্রার্থী হলেও পোস্টার বা প্রচারনা নেই ফজলার রহমানের স্ত্রী দুই পুত্র। তারা প্রচারনার কাজ করছে ফজলার রহমানের ঘোড়া প্রতিকে। পুটিমারী ইউপির এলাকাবাসী জানায় পিতাপুত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেও পিতা ভোটের জন্য পুত্রের প্রচারনায় কাজ করেছেন। অন্য দিকে কিশোরীগঞ্জ সদর, ডোমারের পাঙ্গামটরপুর ও সোনারায় ইউনিয়নে জামাই শ্বশুড় ও চাচা ভাতিজারা হাড্ডাহাড্ডি ভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে লড়াইয়ে রয়েছে।