বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি: নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে মারধর করার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও কাঁঠালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন তুহিনের থানায় বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছ। সোমবার বিকালে জলঢাকা থানায় ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান করে অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা নং-৯ দায়ের করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামান।

জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মফিজ উদ্দিন শেখ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার জলঢাকা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামানকে মারধরসহ লাঞ্চিত করার অভিযোগ উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও কাঁঠালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন তুহিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামান। মামলা ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়াও অজ্ঞাত আরো ১৫/২০জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলা রেকর্ড করে তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামান অভিযোগ কওে বলেন, ‘রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদস্থ আমার দপ্তরে ১৫/২০ লোকজন নিয়ে প্রবেশ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও কাঁঠালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন তুহিন।

এসময় তিনি সরকারের ধান সংগ্রহ অভিযানে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের করা কৃষকের নামেন তালিকায় কাঁঠালী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডে কৃষকের নাম কম হওয়ার অভিযোগ তুলে আমাকে গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে ডেবিলে থাকা ডেক্স ক্যালেন্ডার দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করলে আমার কপাল ও মুখমন্ডল কেটে যায়। খবর পেয়ে সহকর্মীরা উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। জলঢাকা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো.রেজাউল করিম জানান, চলতি মৌসুমে জলঢাকা উপজেলায় সরসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২ হাজার ১৭৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করবে সরকার। এরমধ্যে কাঁঠালি ইউনিয়নে ৫১২জন কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ১৮১মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে।