বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকাতে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে দিশেহারা মানুষ

বজলুর রশীদ :জলঢাকাতে এরকম বিদ্যুতের সমস্যা কোন দিনও ছিলনা। কিন্তু কয়েকবছর থেকে বিদ্যুতের লোডশেডিং জীবনের অঙ্গ হয়ে দাড়িয়েছে। জলঢাকাতে আর মানুষ থাকেনা যে প্রতিবাদ করবে। জলঢাকা উপজেলায় বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ে অসহায় হয়ে পরেছে সাধারন মানুষ। প্রচন্ড গরমে একদিকে যেমন রোজা রাখতে হচ্ছে মানুষকে তেমনি বিদ্যূতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট এ এলাকার জনসাধারন। বিদ্যুত না থাকায় বন্ধ হয়ে পরেছে শিল্প ও কল কারখানা।

গত কয়েকদিন থেকে বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিং সাধারন মানুষ দিশেহারা হয়ে পরেছে। দিনে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ বার লোডশেডিংয়ে সাধারন মানুষ দিশেহারা হয়ে পরেছে। এমনিতেই প্রচন্ড গরম সেই সাথে থাকতে হচ্ছে রোজা আর ইফতারির সময় চলে যায় বিদ্যুত। ১ দেড় ঘন্টা পর বিদ্যুত আসার পর আবার তারাবির নামাযের সময় ৩ থেকে ৪ বার লোডশেডিংয়ের কবলে পরতে হয়। রাতে ঘুমাবার সময় এবং ভোরে একটু শান্তির ঘুমের সময় বিদ্যুত থাকেনা ঘন্টার পর ঘন্টা।রবি ও সোমবারবার সকাল থেকেই কমপক্ষে ৪/৫ ঘন্টা বিদ্যুত না থাকায় ভোগান্তিতে পরতে হয় জলঢাকাবাসীকে। বিদ্যুৎ না থাকায় অসহায় হয়ে পরেছে এ অঞ্চলের মানুষ।

এমনিতেই প্রচন্ড তাপদহে মানুষের জীবন অস্থির হয়ে পরেছে তার উপর বিদ্যুতের ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে পরেছে জলঢাকাবাসী। সোমববার জলঢাকায় ৩৪ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে বলে জানায় নীলফামারী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোঃ আনিছুর রহমান। তবে কয়েকদিনের তুলনায় জলঢাকা শহরে বিদ্যুতের সামান্য উন্নতি ঘটলেও আবারো ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে পরতে হচ্ছে জলঢাকাবাসীকে। বিদ্যুৎ গ্রাহক রবিন জানান স্মরনকালে জলঢাকায় এ রকম লোডশেডিং ছিলনা। এখন বিদ্যুত একবার চলে গেলে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পর আসে।

শনিবার জলঢাকা ঘুড়ে দেখা গেছে বিদ্যুতের বেহাল অবস্থা। বিদ্যুতের এমন লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি প্রচন্ড তাপদহে ভোগান্তীতে পরেছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিক্রি কমে গেছে বলে একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন। বিদ্যুতের এমন সমস্যার কারন জানতে বিদ্যুত অফিসে ফোন করলেও কাউকে পাওয়া যায়না। প্রতিদিন সকাল, দুপুর, সন্ধা ও রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হয় জলঢাকাবাসীকে।