বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকাতে ভ্যানচালকের গলা কাটলো দূর্বৃত্তত্বরা

সুমন মূখাজী নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীতে এক ভ্যান চালককে গলাকেটে হত্যা করেছে অজ্ঞাত দুবৃত্তরা। নিহত ভ্যান চালক হলেন, সাদেক হোসেন (৫০)। সে জেলার জলঢাকা উপজেলার জলঢাকা পৌর এলাকার ডাকুর ডাঙ্গা মহল্লার মৃত ইসলাম উদ্দিনের ছেলে। এ হত্যার ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে জেলার জলঢাকা উপজেলার কাঠালী দেশীবাই গ্রামের বসুনিয়া পাড়া নামকস্থানে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্র মতে, বুধবার রাত ৮টার দিকে জলঢাকা উপজেলা শহরের ট্রাফিক মোড়ে অজ্ঞাত চার ব্যাক্তি ওই ভ্যানচালকের ব্যাটারী চালিত ভ্যানটি একই উপজেলার কাঠালী ইউনিয়নের দেশীবাই পাঠানপাড়া যাওয়ার জন্য দুইশ টাকায় ভাড়া করে। ভ্যানচালক ওই চার অজ্ঞাত চার যাত্রীকে তিস্তা সেচ ক্যানেলের পরিদর্শন সড়ক দিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছিল। পথে কাঠালী ইউনিয়নের দেশীবাই গ্রামের পৌছার আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বসুনিয়া পাড়া নামকস্থানে যাত্রীরা তাকে ভ্যান থামাতে বলে।

এরপর তারা ভ্যান চালককে নামিয়ে দিয়ে বলে তুমি অপেক্ষা করো, আমরা ঘুরে এসে তোমার ভ্যান ফেরত দিবো। এই বলে অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ভ্যান চালক চিৎকার করে দৌড়ে গিয়ে ভ্যানটি টেনে ধরে। এ অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাম পার্শ্বের হাতে কোপ মারে এবং গলা কেটে দিয়ে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ভ্যান চালকের আর্ত্বচিৎকারে এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে। ওই এলাকার মানিক মিয়া নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গলা ও বাম হাত কাটা অবস্থায় মোটরসাইকেলে করে ভ্যানচালককে রাত ১০টা ২০মিনিটে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির জন্য আনা হয়। কিন্তু তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় এরপরই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলওয়ার হাসান ইনাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও ভ্যান সহ ওই অজ্ঞাত চার ব্যাক্তির সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, গত ৩ জুন রাতে নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার পলাশবাড়ী বাজার থেকে অজ্ঞাত চার ব্যাক্তি খেতারডাঙ্গা যওয়ার জন্য ব্যাটারীচালিত একটি ভ্যান ভাড়া করে। ভ্যান চালক সুধীর (৩২) তাদের গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার পথে ওই অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা মালির কুড়া ব্রীজ নামক স্থানে সুধীরের গলা কেটে ফেলে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। সুধীর উক্ত পলাশবাড়ি ইউনিয়নের জ্ঞানদাস কানাইকাটা গ্রামের ধৌলু রায়ের ছেলে।