বিজ্ঞাপন দিন

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার ও উন্নয়ন ব্যাহত কিশোরগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

ভ্রাম্যমান সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয় সংস্কার করার লক্ষ্যে ২৯টি বিদ্যালয়ে এক লাখের অধিক, ৭টি বিদ্যালয়ে ৮৪ হাজার টাকা এবং লেট্রিন মেরামতের জন্য ২৭টি বিদ্যালয়ে ১৯ হাজার ৫শত টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। এছাড়াও স্কুল লানিং ইমপ্রুভমেন্ট (স্লিপ) প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ বিষয়ে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের জন্য ১৫৩টি বিদ্যালয়ে ৪০ হাজার এবং প্রাক-প্রাথমিক শিশু শ্রেণীর জন্য উপজেলার সকল বিদ্যালয়ে প্রতিটি’র জন্য ৫ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। বরাদ্ধকৃত টাকা ৩০শে জুন/১৬ইং বিদ্যালয়গুলো মেরামত কাজ শেষ করে এবং শিক্ষা উপকরণ ক্রয় সাপেক্ষে ওই টাকা ছাড় দেয়ার র্নিদেশনা থাকলেও শিক্ষা অফিসার তা অনুসরণ করেননি। সরেজমিনে, বিদ্যালয়গুলোতে শুধু রং করতে দেখা গেছে। 

অনেক বিদ্যালয়ের জানালা,দর্জা ভাঙ্গাই রয়েছে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রনচন্ডী মাঝাপাড়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে কোন কাজ না করে বিল দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করে কিভাবে বিল অনুমোদন দেয়া হয়েছে, এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কেরামত আলীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। হাতে গুনা কয়েকটি বিদ্যালয় ছাড়া বেশীর ভাগ বিদ্যালয়ে শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করা হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানায়, শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে সকল শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করতে হবে। 

একাধিক সুত্র জানায়, দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষা অফিসার লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসান দা¤ী¢ক্ষের সহিত এ সাংবাদদাতাকে জানান, কাজ শেষ না করা পর্যন্ত কোন বিদ্যালয়ের সংস্কারের টাকা দেয়া হয়নি। তিনি আরও জানান এমন প্রমান দেখাতে পারলে মিস্টি খাওয়ানো হবে। তাৎক্ষনিক তাকে রনচন্ডী মাঝাপাড়া সঃ প্রঃ বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ হয়নি এমন ভিডিও দেখালে, তিনি সাথে সাথে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মোবাইল করেন এবং বলেন কেন আপনি এখনো কাজ করেননি, বিষয়টি যেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্ঠা। এ বিসয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দিলীফ কুমার বনিক জানায়, কোন বিদ্যালয়ে কোন প্রকার অনিয়ম হয়ে থাকলে, তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।