বিজ্ঞাপন দিন

নিজের বিয়ে বন্ধ করলেন ৮ম শ্রেনীর শাপলা।

মর্তুজা ইসলাম,জলঢাকা প্রতিনিধিঃ স্যার আমার আজ স্কুলে শেষদিন। এই ছুটি আমার আমার জীবনের শেষ ছুটি, বাড়ীতে যাওয়া মাত্রই আমার বাবা আমাকে বিয়ে দিবেন, আমি বিয়ে করতে চাইনা, পড়তে চাই -- প্রধান শিক্ষকের রুমে কথাগুলো বলেই কান্নায় ভেঙে পড়ল নীলফামারীর জলঢাকা  নেকবক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী শাপলা (১৩)।

রবিবার সকালে নেকবক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন জানান আমার ছাত্রী শাপলার জোড় করে বিয়ের আয়োজন করেছে তার পরিবার। বিষয়টি স্কুলে এসে আমাকে জানায় সে। বলে," বাবা মা আমার বিয়ে ঠিক করেছে এমনকি যৌতুক ও বর পক্ষকে সাজাবার খরচের টাকাও লেনদেন হয়েছে। আমাকে এ বিয়ে থেকে রক্ষা করেন স্যার। এ নিয়ে শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করি।

শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুল হক প্রধান ও সাংবাদিকদের পদক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পায় শিশুটি। সে ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের হলদিবাড়ী এলাকার দবিয়ার রহমানের মেয়ে। ৪ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় শাপলা। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুল হক প্রধান বলেন -- বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা জলঢাকা। স্বাভাবিকভাবে এখানে বাল্যবিয়ে হবে না। যারা এরকম বিয়ের সাথে জড়িত থাকবে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।