বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় প্রচন্ড গরম আর লোডশেডিং অতিষ্ট জনজীবন

ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা ঃ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় প্রচন্ড গরম আর বারবার বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারনে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকে সূর্যের প্রচন্ড তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমে মানুষের জীবন দূর্বীসহ হয়ে পড়েছে। আর এই গরমের সাথে সমান তালে পাল্লা দিয়ে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং এ যেন মারার উপর খারার ঘাঁ হয়ে দাড়িছে। প্রচন্ড তাপদাহর কারনে উপজেলার বৃদ্ধ ও শিশুরা চরম বিপাকে পড়েছে। গরমের কারনে অসুস্থ হয়ে পড়েছে অনেকে। এ ছাড়াও বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশোডিং ও লো ভোল্টেজের কারনে বিকল হয়ে যাচ্ছে ফ্রীজ, টিভি, কম্পিউটারসহ বৈদ্যতিক জিনিসপত্র। উপজেলার সর্বত্র শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া, ব্যবসা-বানিজ্য, ব্যাংক-বীমা,অফিস-আদালতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজ কর্ম। প্রতিদিন কতবার যে বিদ্যুতের লোড শোডিং দেয়া হয় তার সঠিক পরিসংখ্যান ক্ষোদ বিদ্যুৎ অফিসও দিতে পারবে না। গোপন সুত্রে জানা যায়, বর্তমান আবাসিক প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলাম দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে উপজেলার সর্বত্র অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগসহ চাহিদার অতিরিক্ত সংযোগ প্রদান করেন। ফলে বৈধ গ্রহকরা এই ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন জেনারেটর ব্যবসায়ীর সাথে গোপনে আতাত করে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর লোডশোডিং দেন। এ অবস্থার পরিত্রানের জন্য ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে জলঢাকা শহরে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানব বন্ধন করেন ভুক্তভোগি গ্রহকগণ। এতে করে ওই কর্মকর্তার টনকতো নড়েইনি বরং দিনদিন লোডশোডিং এর মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। এ বিষয়ে আবাসিক প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলাম এর সাথে কয়েক দফায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।