বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীতে বাল্যবিবাহ মুক্ত অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা



নীলফামারী প্রতিনিধি: বাল্যবিবাহ বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সবশ্রেনী পেশার মানুষকে আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে নীলফামারীতে ‘বাল্যবিবাহ মুক্ত অভিজ্ঞতা বিনিময়’ র্শীষক কর্মশালায় বক্তরা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, ল্যাম্ব-প্লান পার্টারশীপ প্রকল্পের যৌথ আয়োজনে ওই কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. জাকীর হোসেন।

 অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ার ইমামের সভাপতিত্বে কর্র্মশালায় বক্তব্য রাখেন প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা ও শিশু অধিকার প্রধান তানিয়া নুসরাত জামান, ল্যাম্ব পার্বতীপুরের উপদেষ্টা ডা. র্কিস প্রিন্সার, প্লান পাওয়ার প্রকল্পের ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এজে.এম এরশাদ আহসান হাবিব, নীলফামারী পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম, ল্যাম্ব আইএম পাওয়ার প্রকল্পের ব্যবস্থাপক বোরহান মৃধা, সাংবাদিক তাহমিন হক ববী, পঞ্চপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী লুগ্না আক্তার মুন প্রমুখ। কর্মশালায় বাল্যবিবাহ মুক্ত নীলফামারী সদর এবং জলঢাকা উপজেলার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন অংশগ্রহনকারীরা। এসময় শিক্ষার্থী লুগ্না আক্তার মুন বলেন,‘নীলফামারীসহ সারাদেশেকে শতভাগ বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আরো সচেতন করতে হবে। তারা সচেতন হলে নিজের বাল্যবিবাহ রোধে ভূমিকা রাখতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

অংশগ্রহনকারীরা অনেকে বলেন,‘আইন প্রয়োগে বাল্যবিবাহের হার কমেছে। কিন্তু এখনও অনেক বিবাহ এলাকার বাইরে গিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এজন্য প্রয়োজন বাল্যবিবাহ পরবর্তী আইন প্রয়োগ। বিবাহ অনুষ্ঠানের পর বাল্যবিবাহের আয়োজকসহ বর-কনের অভিভাবকদে সাজা নিশ্চিত করা হলে শতভাগ বাল্যবিবাহ মুক্ত করা সম্ভব।’ কর্মশালায় জেলা ও উপজেলার সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, আইনজীবী, এনজিও প্রতিনিধি, নিকাহ রেজিষ্ট্রার, ঈমাম-পুরোহিত, বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৯মার্চ নীলফামারী সদর উপজেলা বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অপরদিকে ২০১৪ সালে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয় জলঢাকা উপজেলা।