বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের দাবিতে ছাত্র/ছাত্রী,অভিভাবকদের মানববন্ধন স্বারক লিপি প্রদান

আব্দুল মালেক জলঢাকা প্রতিনিধি: নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ২ নং ডাউয়া বাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখলদারদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও স্বারক লিপি প্রদান করেন বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকরা। জলঢাকা জিরো পয়েন্ট মোড়ে ২৯ শে সেপ্টেম্বর বহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ২ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক নেতারা। অভিভাবক গোলাম রব্বানি বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার জন্য স্কুলে পাঠাই ভাল পাঠ দানের জন্য। কিন্তু প্রতিদিনই বাচ্চাদের অভিযোগ শুনতে হয়। ক্লাশ ঠিকমত করতে পারে না, হোটেলের চুলা থেকে আসা ধোয়া, ময়লা আবর্জনার গন্ধ আসার কারণে স্কুলে যেতে চায় না। পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুভ, টুটুল, ও স্বপ্না আক্তার জানায়, আমরা ক্লাশ রুমে থাকতে পারি না ধোয়া এবং ময়লা আবর্জনা গন্ধের কারণে, খেলা-ধুলাও করতে পারি না। যারা আমাদের বিদ্যালয়ের জমি দখল করে লেখা পড়া ও খেলাধুলার ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে তাদের বিচার চাই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাকা লায়লা বেগমের সভাপতিত্বে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম পাশা এলিচ, ডাউয়া বাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান খোকন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম (রউফুল), উপজেলা শাখার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ আনোয়ার নয়ন প্রমুখ। বক্তারা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুলকে ভূমিদস্যু উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। স্কুলের জমি দখল করে দোকান ঘর তুলে ভাড়া দিচ্ছে। বিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ জমির মধ্যে ৪০ শতাংশ জমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে ক্ষমতার জোরে ভুয়া জাল দলিল তৈরি করে বিদ্যালয়ের জমি দখল করে দোকান ঘর ও গোডাউন নির্মান করে। ফলে অত্র বিদ্যালয়ের ৬ শত শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত ভাবে শিশু বান্ধব পরিবেশে শিক্ষা দিতে হিমশিম খাচ্ছে শিক্ষকরা। সরকারী বরাদ্দের স্কুলের নতুন ভবন ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান করা সম্ভব হচ্ছে না। যার কারনে শিশুদের স্বাভাবিক জ্ঞানের বিকাশ ও পড়া শুনার ব্যাঘাত ঘটছে। প্রতিনিয়ত শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ছাত্র/ছাত্রীরা ক্লাশ রুমে যাতায়াতের সময় পা পিচলে কাঁদার মধ্যে পড়তে হয়। এ অবস্থায় বিদ্যালয় থেকে বের হওয়া অসম্ভব হয়ে যায়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রাণের দাবি অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ সহ সরকারী বিদ্যালয়টিকে রক্ষার স্বার্থে স্কুলের জমি স্কুলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকাররের কাছে দাবী জানিয়ে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহ্ রাশেদুল হক প্রধান কে স্বারক লিপি প্রদান করেন।