বিজ্ঞাপন দিন

ডোমার পৌরসভায় উম্মেকুলসুম টানা চতুর্থবারে নির্বাচিত

ভ্রাম্যমান সংবাদাদাতা : নীলফামারীর ডোমার পৌরসভায় টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত মহিলা কাউন্সিলর উম্মে কুলসুম বাকী জীবনটা পৌরবাসীর সান্বিদ্ধে কাটাতে চান। মঙ্গলবার তাঁর নিজ বাসভবনে একান্ত সাক্ষাতকারে এ সংবাদদাতাকে জানান, জনগন চাইলে পৌরবাসীর সান্বিদ্ধে থেকেই বাকী জীবনটা কাটাতে চাই। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে তিনি চারবার নির্বাচিত হয়ে ইতিমধ্যে রেকর্ড গড়েছেন।

এতো অল্প বয়সে টানা চারবার নির্বাচিত জন প্রতিনিধি তারপরও আবার মহিলা তাঁর জন্য একটি গর্বের বিষয়।ডোমার পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর ২০০০সালে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নিজেকে আত্বপ্রকাশ করেন উম্মে কুলসুম। জীবনের প্রথম নির্বাচনে তিনি ৬,৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর পর থেকে তিনি টানা চতুর্থবারের মতো গত ৭ আগষ্ট অনুষ্ঠিত ডোমার পৌর নির্বাচনে আবারো বিপুল ভোটের ব্যবধানে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ব্যাক্তি জীবনে স্বামী ও ৩ সন্তান নিয়ে সাজানো গুছানো সুখের সংসার রয়েছে তার।

বিয়ে হয় ১৯৯৪ সালের ১০ ডিসেম্বর। স্বামী ওছমান গনী বিশিষ্ট পাট ও তামাক ব্যবসায়ী। বড় ছেলে ওয়াজ কুরুনী ডোমার সরকারী মহাবিদ্যালয়ের একাদ্বশ শ্রেনীর ছাত্র। মেজো ছেলে ইয়াসির আরাফাত ডোমার সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেনীর ছাত্র এবং সবচেয়ে ছোট ছেলে সিয়াম হোসেন ডোমার বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্র।

এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন তিনি। মানুষের বিপদে এগিয়ে আসা, সুখে দুখে মানুষের পাশে থাকা এবং মিষ্টিভাষী হওয়ার কারনে প্রথম নির্বাচন থেকেই তাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করে থাকেন এলাকার সাধারন মানুষ। এলাকার জনগন চাইলে তিনি বাকী জীবনটা পৌরবাসীর সান্বিদ্ধে থেকে সেবা করে কাটাতে চান।