বিজ্ঞাপন দিন

ডিমলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনিয়ম

আব্দুল মালেক সংবাদ প্রতিনিধি: ‘শিক্ষাই জাতীর মেরদন্ড’ এই জ্ঞানী বাক্যটি সমাজে সমাদর থাকলেও কোন কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তা ভিন্নতর। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দক্ষিন সোনাখুলি দাখিল মাদরাসায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়। ২৬ অক্টোবর দুপুর ১.০০ টার সময় মাদরাসাটিতে জাতীয় পতাকা আছে কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষার্থী নেই। প্রতিষ্ঠানটির এই বেহাল অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে এলাকাবাসী সফিকুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম, আহসান হাবিব, আনিছুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই মাদরাসাটি এই রূপ ভাবে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, যা দেখার কেউ নেই। এখানে যে, ১ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত মাদরাসা প্রতিষ্ঠান আছে তা শুধু চোখে পড়ে তবে পড়া শোনা হয় না। এই সকল শিক্ষকদের বেতন ভাতাদি বন্ধ করে সরকারী টাকা সরকারী ফান্ডেই থানা ভালো বলে আমরা মনে করি। উল্লেখ্য যে, উপবৃত্তি প্রদানের দিন ভির দেখা যায়। পড়াশোনা কেমন হয় এ সম্পর্কে জোহরের নামাজ পড়তে আসা এলাকার মুসল্লিদের মধ্যে ৯ম শ্রেণিতে পড়ে এমন কিছু শিক্ষার্থী জানায়, আমরা নিজ উদ্যেগে প্রাইভেট কোচিং এর মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছি। এতেই বুঝে নিন পড়াশোনা কেমন হয়। সাংবাদিকদের মাদরাসায় আসার কথা শুনে সুপার সফিকুর রহমানের দেখা মিলে ১.৩৫ মিনিটে। তার নিকট পরিচালনা কমিটি সম্পর্কে জানতে চাইতে তিনি বলেন প্রক্রিয়াধীনের কাজ চলছে। মাদরাসায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দেখতে না পাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন গত ২৫ অক্টোবর জে.ডি.সি পরীক্ষার বিদায় অনুষ্ঠান হয়েছিল। আজ তার এডমিট কার্ড বিতরন করেছি। কার্ড বিতরনের সঙ্গে ক্লাশ না করার কি সম্পর্ক। এ ব্যপারে তিনি আর কোন কথা বলেন নি। অপরদিকে শিক্ষক হাজিরা খাতায় চাকুরীরত শিক্ষক-কর্মচারী ১৫ জন কর্মরত আছেন। ৪র্থ শ্রেণি ২ জন কর্মচারী ছাড়া সুপার সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা কাউকেও অফিস চলাকালীন সময়ে উপস্থিত পাওয়া যায়নি। অথচ শিক্ষক হাজিরা খাতায় সকলের স্বাক্ষর আছে। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সঠিক ভাবে মাদরাসার তথ্য উপস্থাপন করতে পারেনি। এই ভাবে তালে গোলে চলছে উপজেলার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।