বিজ্ঞাপন দিন

সৈয়দপুরে বাল্যবিয়ের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীর ইউএনও অফিস ঘেরাও

জল নিউজ: নিজের বাল্যবিয়ের প্রতিবাদ করে আলোচনায় এলো নীলফামারীর সৈয়দপুরের আইসঢাল খিয়ারপাড়া আলিম এন্ড ভোগেশনাল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী নুর নাহার। সহপাঠিদের সাথে নিজের বাল্যবিয়ের জন্য বাবা-মা এবং বিয়ের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে। আর এতেই ঘটেছে বাল্যবিয়ের শিকার নুর নাহারের বিপত্তি। উঠতে পারছেনা নিজ বাড়িতে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বাড়িতে হচ্ছে তার রাত্রিযাপন। সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিনপাড়ার নবিউল ইসলামের একমাত্র মেয়ে নুর নাহার। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি প্রাপ্ত নুর নাহার ওই মাদ্রাসায় প্রথম স্থান বরাবরেই অক্ষুন্ন রেখেছে। বুধবার রাতে বাল্যবিয়ের কথা জানতে পেরে সে বিষয়টি মাদ্রাসার প্রধানকে অবহিত করে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আফজাল বিন নাজির তাৎক্ষনিক ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়েটি বন্ধ হয়। কিন্তু ভোর রাতে নুর নাহারের বাবা-মা ঘুম থেকে তুলে প্রায় ৩ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে নিয়ে জোর পূর্বক তার বিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার নুর নাহার মাদ্রাসায় এসে কান্নাকাটি করলে বাল্যবিয়ের কথাটি চাউর হয়ে পড়ে। সহপাঠিরা এর প্রতিবাদে ৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এসে মানববন্ধন করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে স্মারক লিপি প্রদান করে। নুর নাহার জানান, রাতে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আমার বাবা-মা আমাকে বিয়ে দিবেনা বলে অঙ্গিকার করলে আমি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যাই। ভোর রাতে তারা আমাকে ঘুম থেকে তুলে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে একটা অজানা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে নিকাহনামা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। এক প্রশ্নের জবাবে নুর নাহার সিসি নিউজকে জানায়, আমি বরকে চোখে দেখিনি কিংবা তার বাড়ি কোথায় তা জানিনা।