বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় মাকে নির্যাতন করার অপরাধে ছেলে থানা হাজতে ছেলেকে ছাড়ার জন্য মায়ের আহাজারি

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জলঢাকা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বগুলাগাড়ি গ্রামের হাজি পাড়ার মঞ্জু মামুদের বড় ছেলে তফিজার রহমান (৩৫) মা তরিজোন বেগমের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝঁগড়া বিবাদ হয়। এরই এক পর্যায় মাকে ধাক্কা মারলে ঘরের টিনের ব্যাড়ার মধ্যে পড়ে জখম হলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। মা ছেলের ঝঁগড়ার খবর পেয়ে মঞ্জু মামুদ রাজার হাট বাজার থেকে বাড়ীতে ছুটে এলে দেখে স্ত্রী তরিজোন বেগম রক্তাত্ত ও জখম অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। জ্ঞান ফিরলে স্ত্রীকে নিয়ে জলঢাকা থানায় হাজির হইয়া মৌখিক অভিযোগ করিলে পুলিশ ছেলেকে ধরে আসে থানায়। ঘটনাটি গত ১ লা নভেম্বর সন্ধ্যায় ঘটলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে জলঢাকা থানায় ওসি মোস্তাফিজার রহমান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ রাশেদুল হক প্রধান থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে। অসুস্থ তরিজোন বেগমকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। বিষয়টি ভ্রাম্যমানে না নিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য বাবাকে পরামর্শ দেয়। কথায় আছে মায়ের মন জানে স্বর্বজন। ছেলে যত বড় অপরাধি হোক না কেন ক্ষমা করে আবারও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ তুলে নিয়ে ছেলেকে ছাড়ার জন্য আহাজারি করে কাঁদে। তরিজোন বেগমকে অসুস্থ্য অবস্থায় দেখে, ছেলেকে ছেড়ে না দিয়ে আবারও চিকিৎসার হাসপাতালে পাঠায়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, অভিযোগকারী সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত পাষন্ড ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। সুস্থ্য হলে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান।