বিজ্ঞাপন দিন

কর্তৃপক্ষের দৃষ্ঠি আকর্ষন জলঢাকায় মালেকা বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের মানবেতর জীবনযাপন

ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা ঃ নীলফামারীর জলঢাকায় পৌর এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রতিষ্ঠিত মালেকা বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি র্দীঘদিন ধরে নানাবিধ সমস্যায় জর্জড়িত হয়ে পড়েছে। ১৯৯৫ সালে পৌর এলাকার রাজার হাটের উত্তর পার্শ্বে দেড় একর জমির উপর জলঢাকার বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মাহমুদার রহমান এর সার্বিক সহযোগিতায় ওই বালিকা বিদ্যালয়টি স্থাপিন করা হয়। বিদ্যালয়টি ২০০৪সালে নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে এমপিও ভুক্ত হয় এবং ২০০২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে রুপান্তরিত হয়ে ওই বছর ৪২জন ছাত্রী এস এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভাল ফলাফলের জন্য বিদ্যালয়টিকে পরপর তিনবার শিক্ষা উদ্দিপনা পুরস্কার দেয়া হয়। পৌর শহরের প্রত্যন্ত এলাকায় বালিকা বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার সুবাদে ওই এলাকার শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত মধ্যবিত্ত, নিন্ম মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা সেখানে লেখা-পড়া করার সুযোগ পায়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ থেকে ১০শ্রেণী পর্যন্ত ২শ ৭০জন ছাত্রী অধ্যায়ন করছে।

বিদ্যালয়ের অফিস সুত্রে জানা যায়, আগামী ২০১৭ সালে এস এস সি পরীক্ষায় ৩২জন ছাত্রী অংশ গ্রহণ করবে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১২জন শিক্ষক, ১জন অফিস সহকারী ও ৩জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীসহ মোট ১৬জন কর্মরত আছেন। দীর্ঘদিন থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ নিষ্ঠার সাথে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসলেও শিক্ষকগণ এখনো এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষক-কর্মচারীগণ মানবেতর জীবন যাপন করছে। নিয়োগের পর থেকে আজ পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মচারীগণের এমপিও না হওয়ার কারনে ওই পরিবারগুলো অতি কষ্ঠে দিন কাটচ্ছে। এছাড়াও, ছাত্রীদের বিনোদনের জন্য খেলার মাঠ সংকট, বিদ্যালয়টির সামনে বালু এবং একটি পরিত্যক্ত পুকুর থাকার কারনে খেলা-ধুলাসহ শিক্ষার্থীরা শরীর চর্চা করতে পারে না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন জলঢাকানিউজকে জানান, অর্থিক সংকটের কারনে ২টি টিনসেট পাঁকা ঘরের জানালা-দরজা, এমনকি দেয়াল প্লাস্টার করতে পারছি না ফলে ক্লাস রুমের ইটগুলো ঝুরঝুড় করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ছাত্রীদের বসার ব্রেঞ্চ এর সংকট থাকায় শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা না পাওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনি অবহেলিত এই বালিকা বিদ্যালয়ের অবকাঠমো উন্নয়নে সরকারী অর্থ বরাদ্ধ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মচারীরগণের পরিবারের বিষয়টি বিবেচনা করে তাদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান