বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় প্রাথমিকে দূর্নীতির রাতুর ঘর ভাঙ্গলো ইউ.এন.ও “৬ শিক্ষক ১ অভিভাবক সহ দন্ড” জরিমানা প্রত্যেকের ৫ হাজার টাকা

মানিক লাল দত্ত, জলঢাকা (নীলফামারী)ঃ নীলফামারীর জলঢাকায় বৃহস্পতিবার সকালে প্রাথমিক ও এবতেদায়ী পরীক্ষায় অসৎ উপায়ে নকল সরবরাহ করার দায়ে ৬ শিক্ষক ও একজন অভিভাবক সহ ৭ জনের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহঃ রাশেদুল হক প্রধান।

অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার পূর্ব বালাগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মফিজার রহমান (৪৫), বালাগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মতিয়া বেগম (৪০), বালাগ্রাম আদর্শপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিক জুলফিকার আলী (৪৫), বালাগ্রাম সাউথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কানিজ তানজিনা (৩০), বালাগ্রাম ইউসি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওবায়দুর রহমান চৌধুরী (৪৭), বালাগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হামিদুর রহমান (৪৬), অভিভাবক মহসিন আলী মিলন (৪৮)।। পি.এস.সি ও এবতেদায়ি ইসলাম ধর্ম পরীক্ষা চলাকালিন সময় স্কুল সংলগ্ন একটি ক্লিনিকে বসে নকল সরবরাহ করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনা স্থলে পৌছান ইউ.এন.ও, থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে জরিমানা করা হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাংবাদিকদের বলেন, গত বার সমাপনী পরীক্ষায় সিংহ ভাগ বৃত্তি এবং বালাগ্রাম ইউসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খবর বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছিল, তখন আমি এ উপজেলায় ছিলাম না। এখন বাস্তবতা দেখলাম ও ব্যবস্থা নিলাম। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহাজাহান বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, শিক্ষকদের জরিমানা না করে জেলে পাঠানো উচিত ছিল, এতে সারা বাংলাদেশের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষক/শিক্ষিকারা সজাগ থেকে সঠিক পাঠদান দিতেন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে একটি সোনার বাংলা তৈরি হত।