বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকা পৌরসভার ঝাঁড়–দারিনীকে ধর্ষনের চেষ্টা করার অভিযোগ

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জলঢাকা পৌরভার ঝাড়–দারিনীকে ধর্ষনের চেষ্টা করেছে বলে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌরসভার ০২ নং ওয়ার্ড মাথাভাঙ্গা এলাকার হরিজোন পাড়া গ্রামের মৃত-মহেন্দ্র দাসের বিধাবা মেয়ে শ্রীমতী গীতা রানী দাস (২৬) প্রায় ৬ বছর যাবৎ পৌরসভায় চাকুরী করে আসে। বিগত সাবেক মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু তাকে এই কাজের জন্য মাষ্টাররোলে নিয়োগ দেয় এবং সুনামের সহিত সে চাকুরী করে আসিতেছে। বর্তমান মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরীর অনুকূলে নিয়োগ প্রাপ্ত পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড বগুলাগাড়ী হাড়ী বেচাটারী গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে নৈশ্যপ্রহরী আইনুল হক (৩২) তাকে প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসে। গীতা রানী তার প্রস্তাবের রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে আসে। গত ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৯ টায় পৌরসভা অফিসে যায়। অফিস কক্ষ পরিস্কার করার জন্য মেয়র কক্ষ খুলে দেয় নৈশ্যপ্রহরী আইনুল হক। ঝাঁড়– নিয়ে অফিস কক্ষে ঢোকা মাত্র পিছন থেকে এসে তাকে ঝাঁপটে ধরে। টানা হেঁচড়া করে মেঝেতে ফেলে হুড়াজুরা করে তার পরনের কাপড় ছিড়ে ফেলে এবং খুলে বিবস্ত্র ভাবে উলঙ্গ করে ধর্ষনের চেষ্টা চালিয়ে যায়। ধর্ষনের চেষ্টায় ব্যার্থ হলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় মাড়ে। এ সময় তার আর্ত্মচিৎকারে বড় ভাই বিনয় দাস সহ আরো কয়েকজন ছুটে আসলে লম্পট আইনুল হক পালিয়ে যায়। বিনয় দাস, এলাকাবাসির সহযোগিতায় লম্পটের হাত থেকে বোনকে উদ্ধার করে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। ঘটনাটি মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ পেয়ে, জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে ভিক্টিমকে না পেয়ে সরজমিনে বাড়েিত গিয়ে কথা হলে সে জানায়, মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বর্তমান মেয়রের লোকজন আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেয়। থানায় অভিযোগ তুলে না নিলে চাকুরীতো থাকবে না, প্রাণটাও চলে যাবে বলে বাড়ীতে এসে সাশিয়ে যায়। সে ঘটনার বিবরণ তুলতে গিয়ে কেঁদে কেঁদে বলে, আমি প্রতিদিনের ন্যায় ১০ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় পৌরসভা অফিসে আমার বড় ভাই আমাকে রেখে আসলে আমার কাজের জন্য প্রস্তুতি নিলে মেয়রের কক্ষ পরিস্কার করার জন্য খুলে দেয় নৈশ্যপ্রহরী। আমি ঝাঁড়– নিয়ে কক্ষের ভিতরে প্রবেশ করলে লম্পট আইনুল আমার পিছু দিয়ে ভেতরে ঢুকে আমাকে ঝাঁপটে ধরে টানা হেঁচড়া করে পড়নের কাপড় খুলে বিবস্ত্র করে উলঙ্গ করে। হুড়াজুরা করে আমার বাম গালে ও বাম স্তনে কামড় মারে। আমার ইজ্জত রক্ষার্থে আত্মচিৎকারে আমার ভাই সহ আরো অনেকে ছুটে আসলে সে পালিয়ে যায়। তার বড় ভাই বিনয় দাস জানায়, আমার বোনের ইজ্জতের উপর যে এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে আমি তার শাস্তি চাই। অভিযোগ করিছি, মামলা না হলে জলঢাকা হরিজোন পল্লীর সকলকে নিয়ে আমি ধর্মঘাট পালন করব। এ বিষয় পৌর মেয়রের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে, তিনি কল রিসিফ না করে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এ ব্যাপারে জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা করব।