বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় যবুথবু হয়ে হয়ে পড়ছে শীতার্ত মানুষ!

মানিক লাল দত্ত, জলঢাকা (নীলফামারী): এসেছে মৌসুম শীতের কুয়াশার ধোয়ায় যেন চারিদিক অদৃশ্য শুধু মাত্র মন পাখিটি বুঝতে পারে হেমন্তের পর শীত এসেছে। নীলফামারীর হিমালয় সংলগ্ন জেলা হওয়ায় জলঢাকা উপজেলায় শীতের প্রভাবটা বরাবরেই বেশি। সরকারী ভাবে শীতার্ত মানুষরা যা কম্বল পান তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবেই অপ্রতুল। উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে এখানে বসবাসরত প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের মধ্যে অর্ধেককেই দরিদ্র। প্রকৃতির বদল আর হিমালয়ের হাওয়া মানুষের জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছে। প্রকৃতির এমন খেলা এর আগে কখনো ঘটেনি, সমাজ সভ্যতা সর্বস্তরে শীতের ইমেজ পৌছে গেলেও কেউ খোজ রাখছে না তিস্তা পাড়ের মানুষরা কেমন আছে। যারা দিন আনে দিন খায় তাদের অবস্থা একেবারেই নাস্তানাবুদ, কারণ হিসাবে জানা গেছে দ্রব্য মূল্যের যা উর্ধ্বগতি পারিশ্রমিকে তা আসে না। হযবরল অবস্থায় মানুষ দিন কাটাচ্ছে চাতক পাখির মত চেয়ে, এখানে নেই কোন শীতার্ত মানুষের জন্য বস্ত্রের ব্যবস্থা। একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মুই মরো মোর জারে ওমা কম্বল দেয় কারে। দ্বিজেন্দ্র নাথ রায় বয়স প্রায় আশির কোঠায়, বাড়ী উপজেলার বড়ঘাটে তিনি বলেন, সরকারী আর বে-সরকারী লোকগুলো অনুষ্ঠান সাজায় সুন্দর দশ/বিশ টা দিয়ে শেষ। কাজের কাজ কিছুই হয় না, সারাজীবন হামাক এই রকমে থাকির নাগে। বাজারে শীত বস্ত্র উঠেছে কিন্তু দাম বেশ চড়া যেন, লাগামহীন ঘোড়া। গরু-ছাগল, হাঁস, মুরগি, কবুতর সহ বিভিন্ন প্রাণী শীতের ছোবলে যবুথবু হয়ে পড়েছে। এই বিষয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক উৎপল ভট্টাচার্য বলেন, এবারের শীতে সরকারের কাছ থেকে এ অঞ্চলের মানুষের জন্য বেশি বেশি কম্বল চাই, জলঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট নিউন্যাশন ইংরেজি পত্রিকার সাংবাদিক শাহজাহান কবির লেলিন জানান, এখন পর্যন্ত সরকারী বে-সরকারী কোন সংস্থায় শীতার্ত মানুষের পাশে এসে দাড়ায় নি।