বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীতে জালিয়াতির মাধ্যমে একাধিক জামায়াত নেতার জামিন!

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীতে জালিয়াতির মাধ্যমে জামায়াতের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে জামিন নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আদালতকে ভুয়া তথ্য দিয়ে তারা জামিন নেয় বলে অভিযোগ মিলেছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার জলঢাকা উপজেলায়। জানা যায়, ওই এলাকার জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যা, নাশকতাসহ জলঢাকা উপজেলায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ রকম দুটির মামলা নং- জিআর-১৪৮/১৩ ও জিআর-৩৭/১৪।

এ মামলা দুটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। জিআর-১৪৮/১৩ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হলেন, জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের আমীর সাদের হোসেন, জেলা জামায়াত নেতা আন্তাজুল হক সহ অনেকেই। অপর দিকে জিআর-৩৭/১৪ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হলেন, জেলা জামায়াতের নেতা মনিরুজ্জামন জুয়েল সহ অনেকেই। এ দুটি মামলার একাধিক আসামী জামিনে রয়েছে আবার অনেকে এখনো পলাতক রয়েছে। জামিন প্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের আমীর সাদের হোসেন, জেলা জামায়াত নেতা আন্তাজুল হক ও মনিরুজ্জামান জুয়েল রয়েছে।

এরা গত বছরের নভেম্বর মাসে পুলিশের হাতে আটক হবার পরে জেলা কারাগারে ছিল এবং হাজতি আসামী হিসাবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে জামিনে মুক্তি পায়। পুলিশের দাবী এরা কখনোই গত বছর ওই দুটি মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়নি এবং আদালতেও আত্মসমর্পন করেনি ও জেল হাজতেও যায়নি। তাহলে কিভাবে তারা গ্রেফতারকৃত আসামী হয়। জেলা কারাগার সুত্র জানায়, গত বছর ওই নামীয় কোন আসামী ওই সময়ে জেলা কারাগারে ছিল না।

অপরদিকে ওই জামিন প্রাপ্তরাই একই সময়ে তাদের তিন জনের কর্মস্থল জামায়াত নিয়ন্ত্রিত জলঢাকা আইডিয়াল কলেজে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে কর্মস্থলের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, একই ব্যাক্তি একই সময়ে কিভাবে জেলখানা ও বাইরে কর্মস্থলে থাকতে পারে। তাদের জামিনের বর্ণনা মতে, তারা গ্রেফতার বা আত্বসমর্পন করে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এসেছেন। প্রশ্ন উঠেছে আইন শৃংখলা বাহিনী তাদেরকে গ্রেফতার না করা সত্বেও ও আদালতে আত্বসমর্পন না করেও কিভাবে জেল থেকে জামিন পেলেন। জিআরও অফিসের সাথে যোগসাজশে তারা এমন কাগজ তৈরী করে বলে অভিযোগে প্রকাশ। ভুয়া তথ্য দিয়ে ভুয়াভাবে এমন জালিয়াতির মাধ্যমে তারা জামিন নিয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সুত্র জানায়।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর দাবী নাশকতা সহ সকল মামলায় সরকারের যথাযথ কতৃপক্ষের দায়িত্বশীল ভুমিকা রাখার পাশাপাশি এ মামলা দুটি জালিয়াতি করে জামিনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দাবী জানাচ্ছে। এ ব্যাপারে সে সময় নীলফামারীর জলঢাকা আদালতে দায়িত্ব পালন করা জিআরও বর্তমানে বদলীকৃত এএসআই সিরাজ একাধিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোন প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হননি।