বিজ্ঞাপন দিন

মায়া মমতার এ চাঁদর ছেড়ে আমি কোথাও যেতে চাইনা ০৮-০২-২০১৭

মানিক লাল দত্ত, জলঢাকা (নীলফামারী) : চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ববিতা আক্তার বাড়ী নীলফামারীর জলঢাকার পশ্চিম কাঁঠালীতে পিতৃ-মাতৃহীন সে। কৃষক পরিবারের সন্তান হওয়ায় অভাবের রাহু গ্রাস বন্দি করে ফেলেছিল তার জীবনকে। এখন সে ভালই পড়াশুনা করছে, সে বলে এখানে আমি ভালবাসার চাঁদর পেয়েছি। 

মায়া-মমতার এ চাঁদর ছেড়ে আমি কোথাও যেতে চাইনা। শুধু ববিতায় নন বাসস্ট্যান ডাঙ্গা পাড়া তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী রিমা আক্তার, কাজির হাটের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সারমিন আক্তার এরা সকলেই এ অনাথ আশ্রমের আশ্রিতা। পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে এক বিঘা জমির উপর নির্মিত এ আশ্রমটি নামকরণে মধ্য কাজির হাট বালিকা হাফিজা মাদরাসা ও এতিমখানা নামে পরিচিত। ৬ জন শিক্ষক দিয়ে চালানো হয় প্রতিষ্ঠানটি, সেখানে কারিগরি শিক্ষার পাশা-পাশি কমম্পিউটার প্রশিক্ষণ সহ নানাবিদ টেকনোলজি শিক্ষা প্রদান করা হয়। 

এমনকি হস্তশিল্প সহ বিভিন্ন শিল্পের নিদর্শন রয়েছে এখানে। যিনি এ প্রতিষ্ঠানটি গড়েছেন তিনি এক সাদা মনের মানুষ ডা: মো. আনোয়ার হোসেন। নিজ চিকিৎসা সেবার পাশা-পাশি প্রায় শতাধিক অনাথকে দেখভাল করেন তিনি। বুধবার তার সঙ্গে এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সমাজের সকলের কাছে স্বর্নিরবন্ধ অনুরোধ ঝড়ে পড়া শিশুদের সকলেই যেন বুকে টেনে নেয়।