বিজ্ঞাপন দিন

চিলাহাটিতে ষ্টেশন মাষ্টার ও বুকিং সহকারীর কালোবাজারী

আপেল বসুনীয়া,চিলাহাটি ওয়েব : উত্তরের সর্বশেষ রেলওয়ে ষ্টেশন চিলাহাটিতে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারীর কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আসা অনেক যাত্রীরা টিকেট বিরম্বনায় পড়ছে। আর সেই সুযোগে কালোবাজারীরা বেশী দামে টিকেট বিক্রি করছে।
জানা গেছে,নীলফামারী জেলার একসময়ের স্থলবন্দর এবং বর্তমানের আধুনিক রেলওয়ে ষ্টেশন চিলাহাটি থেকে বর্তমানে ৫টি আন্তঃনগর ও ১টি লোকাল ট্রেন চলাচল করছে। চলতি ঈদ মৌসুমে এই ট্রেনগেুলোর টিকেট নিয়ে ষ্টেশন মাষ্টার ও বুকিং সহকারী শুরু করে বানিজ্য। কাউন্টারে আসনসহ টিকেট না থাকলেও প্লাটফর্মে তা পাওয়া যায় ৩ গুন দামে। বেশীভাগে আন্তঃনগর নীলসাগর ট্রেনের টিকেট নিয়ে যাত্রীরা পড়েন বিপাগে। গত ২১ জুন চিলাহাটি রেলওয়ে ষ্টেশনে দেয়া হয় ৩০ জুন এর টিকেট। লাইনে প্রায় ৭০ জন দাঁড়ালেও ২৬ জনকে ৫৬ টি টিকেট দিয়ে কাউন্টার বন্ধ করে দেন বুকিং সহকারী মোরশেদ আলম জনি। যদিওবা ৭৫টি টিকেট বরাদ্দ।
তেতুলীয়া থেকে আসা মিজানুর রহমান চিলাহাটি ওয়েব ডটকমকে জানান,আমি রাত ১২টা সময় এসে লাইনে দাঁড়াই পরদিন সকাল ৮ টায় টিকেট প্রদান করলেও আমি টিকেট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছি। সম্প্রতি নীলসাগর ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা হলেও চিলাহাটি থেকে কোন আসন বরাদ্দ হয়নি কথাটি জানালেন ষ্টেশন মাষ্টার আব্দুল মতিন। অথচ গত ২৮ জুন বুকিং সহকারী মাহফুজুর রহমান অতিরিক্ত বগির-৮৩,৮৪,৮৫,৮৭,৮৮,৮৯ নং আসনের ৪৯৫ টাকার টিকেট কাউন্টার থেকে ৭০০/৮০০ টাকায় বিক্রি করেন। যাতে আসন বিহীন সিলটি কলম দিয়ে কেটে দেন। গত ২৭ জুন রাতে টিকেট না পাওয়া যাত্রীরা প্রায় আধাঘন্টা নীলসাগর ট্রেনটিকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা জানায়, ষ্টেশন মাষ্টার আব্দুল মতিন ও বুকিং সহকারী জনি হাতে টিকেট রেখে তাদের দালালদের মাধ্যমে বেশী দামে বিক্রি করছে। এ ব্যপারে পাকশী ডিবিশনের বানিজ্যিক কর্মকর্তার সাথে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিনসিভ করেননি।