বিজ্ঞাপন দিন

ডোমারে আদম বেপারীর খপ্পরে পড়ে প্রতারনার শিকার দুই যুবক

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিবেদকঃ নীলফামারীর ডোমারে উন্নত জীবনের আশায় বিদেশে গিয়ে প্রতারনার শিকার হয়েছে দুই যুবক। প্রায় দেড় বছর বিদেশে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে জেল খেটে অবশেষে শুন্য হাতে বাড়ীতে ফিরেছে হতভাগ্যরা। এ ব্যাপারে প্রতারিতরা বাদী হয়ে আজাহার হোসেন রাজাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দ্বায়ের করেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে, ডোমার উপজেলার মৌজা গোমনাতী মাঝিয়ালপাড়া গ্রামে। জানা যায, ওই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আজাহার হোসেন রাজার দুই শ্যালক মালদ্বীপে অবস্থান করছেন।

এই সুবাদে ভাল কাজের প্রলোভন দিয়ে একই এলাকার বীরেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে জশোরত রায় ও রমেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে মতিলাল রায়ের কাছ থেকে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে গত ২০১৬ইং সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তাদেরকে মৎস্য শ্রমিক হিসাবে ১ বছরের ভিসা দিয়ে মালদ্বীপে পাঠায়। প্রতারিতরা জানায়, মালদ্বীপ পৌছার পর সে দেশে অবস্থানরত দালাল চক্র তাদের পার্সপোর্ট, ভিসাসহ কাগজ পত্র কেড়ে নিয়ে তাদেরকে একটি মৎস্য প্রক্রিয়াকরন ফার্মে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে তাদেরকে দিয়ে দৈনিক ১৬ হতে ১৮ ঘন্টা করে কাজ করে নেয় মালিক পক্ষ। মাস শেষে তারা বেতন দাবী করলে মালিক তাদেরকে জানায়, মালদ্বীপ ফার্মের মালিকের টাকায় তারা বিদেশে এসেছে তাই টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কোন পারিশ্রমিক দেয়া হবে না। এভাবে তাদের কেটে যায় প্রায় ১৭ মাস।

এ দীর্ঘ সময়ে তাদেরকে খাবার দেয়া হত সকালে দুটো রুটি, দুপুরে ও সন্ধ্যায় এক বাটি করে ভাত। এভাবে বিনা বেতনে খেয়ে না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে কাটে তাদের জীবন। এক পর্যায়ে তারা সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে মালদ্বীপ পুলিশের কাছে আত্বসমর্পন করে। মালদ্বীপ পুলিশ তাদেরকে অবৈধভাবে অবস্থান করার অপরাধে জেল হাজতে পাঠায়। জেল খাটার পর মালদ্বীপ কতৃপক্ষ তাদেরকে সরকারী খরচে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেন। দেশে আসার পর তারা এ নিয়ে আজাহার হোসেন রাজা ও তার পরিবারের সাথে একাধিক স্থানীয় শালিশ মীমাংসায় বসে এবং রাজা শালিসে সব কিছু স্বীকার করে নেয়। শালিসের পরদিন আবার অস্বীকার করে। এভাবে কাটছে প্রতারিতদের জীবন।

এ ব্যাপারে আদম বেপারী আজাহার হোসেন রাজা সাংবাদিকদের জানান, আমার শ্যালকের মাধ্যেমে তাদেরকে বিদেশে পাঠাই এবং সেখানে তারা নিয়মিত বেতন পেতেন এর বেশী তিনি বলতে রাজী হননি। এ ব্যাপারে জশোরত বাদী হয়ে রাজাসহ তিনজনকে বিবাদী করে নীলফামারী চীফ জুডিসিয়াল মেজিষ্টেট আদালতে একটি মামলা দ্বায়ের করে। মামলা নং-৬৩/