বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় মাদ্রাসা সুপারের অবহেলায় এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না মেধাবী ছাত্রী রিক্তা

ফরহাদ ইসলাম,জলঢাকা,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের দ্বায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলাতির কারনে এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না দরিদ্র পরিবারের রিক্তা আক্তার নামে এক মেধাবী ছাত্রী। পরীক্ষায় অংশগ্রহন ও অভিযুক্ত সুপারের বিচারের দাবীতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা ফজলুর রহমান। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শৌলমারী আনছারহাট ইসলামীয়া দ্বি-মূখী দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর নিয়মিত মেধাবী ছাত্রী রিক্তা আক্তার (১৫)। তার রোল নং-৯, শাখা বিজ্ঞান। সে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য মাদ্রাসার নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে গেলে জানতে পারে যে,মাদ্রাসার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সুপার ময়নুল হাসান টাকা নিয়েও নবম শ্রেণীতে তার নাম রেজিষ্ট্রেশন করেন নাই। ফলে ওই পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ী ফিরে যায় এবং বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।

এবারের দাখিল পরীক্ষায় ওই মাদ্রাসার ৫৩ জন ছাত্র-ছাত্রীর নাম রেজিষ্ট্রেশন করা হলেও নবম শ্রেণীর ৪নং রোলধারী রিক্তা আক্তারের নাম কেন রেজিষ্ট্রেশন করা হলো না এ প্রশ্ন শিক্ষার্থীসহ অনেক অভিভাবকের। কান্নাজড়িত কন্ঠে রিক্তা আক্তার সংবাদকর্মীদের বলেন,‘অনেক কষ্ট করে আমি এবারে পরীক্ষায় অংশগ্রহনের প্রস্ততি নিয়েছিলাম,ময়নুল স্যারের কারনে আমার জীবন থেকে একটি বছর ঝড়ে গেল !’ রিক্তা আক্তারের বাবা ফজলুর রহমান জানান,‘আমি পোষ্ট অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর অতিদরিদ্র একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী।

মেয়ের এই ঘটনায় আমিসহ আমার পরিবার হতভম্ব হয়ে পড়েছি, যাদের অবহেরায় আমার মেয়ে এবারে পরীক্ষা দিতে পারছে না ,আমি তাদের বিচার চাই।’ অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত সুপার ময়নুল হাসানের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করা হলেও এ বিষয় তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নাই। এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন,‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক বলেন,শিক্ষার্থীর বাবার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,‘বিষয়টি মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।’