বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় করের মাসে কর ফাঁকি

রাশেদুজ্জামান সুমন জলঢাকা নীলফামারী প্রতিনিধিঃনীলফামারীর জলঢাকার কৈমারী ইউনিয়নে ২ শতক জমি রেজিষ্ট্রির সময় রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কছির উদ্দিন, সহির উদ্দিন, মফিজ উদ্দিন, মফর মামুদ গেল ২ অক্টোবর সফর উদ্দিনের অংশীদার হিসেবে ২ শতক জমি বিক্রি করে একই এলাকার মৃত জবান উদ্দিনের ছেলে নুর ইসলাম গণের কাছে। কৈমারী মৌজার ৭০/৯১ দাগে ২৭/৮০ খতিয়ানে জে.এল.নং-৭৫, ৫ টি ঘর, ১টি কুয়া, টুমারু, ঘুমারু, আব্দুল মামুদের ওয়ারিশগণ। টুমারু মামুদের ছেলে আমিনুর রহমান ১৯৪৮ সাল থেকে ঘরবাড়ি স্থাপন করে বসবাস করে আসছে। প্রাপ্ত সূত্র মতে, ক্রয়কৃত ২ শতক জমি দাতা সঠিক কাগজপত্র সরকারকে দিলে ক্রেতা দলিল লেখক বগুলাগাড়ির নজরুল ইসলাম ও সাব-রেজিষ্ট্রারের যোগসাজসে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে বাস্তকে, ডাঙ্গা দেখিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রি করেন। 

বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি শতক জমি ডাঙ্গা ৭ হাজার ২ শত ৬২ টাকা, দোলা ৬ হাজার ৯ শত ৭৮ টাকা, বালু ২৬০ ট াকা, ভিটা ১১ হাজার ৩ শত ৩৪ টাকা, ডোবা ১ হাজার ১১ টাকা, বাস্তবাড়ি ৬০ হাজার টাকা মূল্যে নির্ধারণ করেছে। ২ শতাংশ জমির মূল্য বাস্তভিটার দরে সরকারী ফি আসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। সেখানে বাস্তভিটার পরিবর্তে ডাঙ্গা দেখিয়ে জাল কাগজপত্রাদি তৈরি করে দেখিয়েছেন ডাঙ্গা। ফলে সরকার বঞ্চিত হলো রাজস্ব থেকে যার রাজস্বের পরিমাণ ২ শতকে ডাঙ্গায় আসে ১৪ হাজার ৫ শত ২৪ টাকা তার স্থলে কর ফাকি হলো ১ লক্ষ ৫ হাজার ৪ শত ৮৬ টাকা। এই করের ৯% সরকারের কোষাগারে জমা পড়ে। এ প্রসঙ্গে কৈমারী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী আব্দুল মতিন সাংবাদিকদের বলেন, আমার দেওয়া মূল দাখিলা দাখিল করিলে এমনটা হতনা। ৬৩ ফাইনালের বাস্ত আছে, বর্তমানেও আছে এর পরেও কীভাবে বাস্ত ডাঙ্গায় পরিণত এটা আমার বোধগম্য নয়। 

এ বিষয়ে জলঢাকা সাব-রেজিষ্ট্রার শাহজাহান আলী বলেন, দাতা গৃহীতার কোন পক্ষ যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব। এদের মূল লক্ষ্য ছিল রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া এবং পূর্র্বে অনেকেই এটা করেছে। আমি আসার পর থেকে চেষ্টা করেছি এই প্রবণতাগুলো কীভাবে কমা যায়। আমার মূল কাজ হলো রাজস্ব আদায়। আর এই জমিতে যে রাজস্ব ফাকি দিয়েছে সেটা আমি আদায় করেছি। জেলা রেজিষ্ট্রার আব্দুস সালাম জানান, যে ব্যক্তি কর ফাঁকি দিয়েছে তা আদায় ও দলিল লেখক সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।