"তারাগঞ্জ ও/এ ফাজিল মাদ্রাসার অনিয়মের সংবাদ প্রকাশে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কয়েক জন শিক্ষক জবাব দিহিতার শিকার"

সিরাজুল ইসলাম বিজয় তারাগঞ্জ(রংপুর)প্রতিনিধিঃগত ১৫ই নভেম্বর ২০১৭ইং বুধবার দৈনিক নতুন স্বপ্ন পত্রিকায় "তারাগঞ্জ ও/এ ফাজিল মাদ্রসার -"অধ্যক্ষের সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতিতে অতিষ্ট অভিভাবক" শিরোনামে অনিয়মের একটি খবর প্রকাশ হওয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ডঃ মোঃ আঃ সালাম প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের গোপন তথ্য সরবরাহকারী বা সম্পৃক্ততার বিষয়ে সন্দেহ মুলক কয়েক জন শিক্ষককে দোষারুপ করেন। যার ধারাবাহিকতায় ২৫/১১/১৭ইং একটি জবাবদিহিতা মুলক পত্র প্রেরন করেন। যার বিষয় শিরোনাম হলঃ অত্র মাদ্রসার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার হীনস্বার্থ চরিতার্থ হাসিলের জন্য 'দৈনিক নতুন স্বপ্ন' পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের আলোকে আপনার অবস্থান ও বক্তব্য প্রদান প্রসঙ্গ। উল্লেক্ষ্য বিষয় শীর্ষক প্রেরিত পত্র সম্পর্কে উক্ত মাদ্রসার পত্র প্রাপ্তি সহঃ শিক্ষক (কৃষি)মোঃ মোজাহারুল ইসলাম বলেন প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হউক তা আমার কাম্য নয় তবে, 'দৈনিক নতুন স্বপ্ন' পত্রিকায় প্রকাশিত অনিয়মের সংবাদ সম্পূর্ন সত্য। পত্র প্রাপ্তি ও বেতন কর্তনের শিকার ইংরেজী প্রভাষক মোঃ মোস্তাক আহমেদ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন- প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা নয় বরং উজ্জল করার জন্য আমরা অত্র মাদ্রাসায় নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করি এবং কেউ ক্ষুন্ন করতে চাইলে আমরা তা হতে দিতে পারি না। কিন্তু সংবাদ পত্রে খবর প্রকাশ হওয়ার পর আমাকে জবাবদিহিতা মূলক পত্র কেন প্রেরন করা হলো তাহা আমার বোধগম্য নয়। সাংবাদিকদের দ্বায়িত্ব যে কোন মুল্যে সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উদঘাটন করে প্রকাশ করা। তবে প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ন সত্য এই মর্মে যে আমার মায়ের চিকিৎসা জনিত কারনে আমি দুই দিনের ছুটি নিয়ে ঢাকা অবস্থান কালে মায়ের অপারেশনের কারনে আরও একদিনের ছুটি প্রয়োজন বলে মোবাইল ফোনে অধ্যক্ষ বরাবর অনুরোধ করি এবং প্রতিষ্ঠানে ফিরে লিখিত ভাবে ছুটির আবেদন করা সত্ত্বেও তা নামঞ্জুর করে বেতন কর্তন করা হয়। অথচ তখনও আমার বাৎসরিক ঐচ্ছিক ছুটি বিদ্যমান। বেতন কর্তনের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন-প্রতিষ্ঠান প্রধানের এই সিদ্ধান্তে আমি মর্মাহত। তবুও আমি প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে জবাবদিহিতার শিকার। কারন আমার বেতন কর্তনের সংবাদটি প্রকাশিত। অথচ প্রকাশিত সংবাদের ব্যাপারে আমার কোন সম্পৃক্ততা ছিল না।উক্ত প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা মুলক পত্র প্রাপ্তি আরেকজন আরবি প্রভাষক মোঃ আজিজুর রহমান বলেন- ১৫নভেম্বর প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে আমার কোন সস্পৃক্ততা নেই। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত বেতন কর্তন ও অনিয়মের বিষয়টি সুনিশ্চিত। অামার নিজের নৈমিত্তিক ছুটি বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনের তাগিতে ২দিনের বাড়তি ছুটি নামঞ্জুর করে বেতন কর্তন করা হয়।উল্লেক্ষ সংবাদের আলোকে শিক্ষা বিষয়ক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন পূর্বক জবাবদিহিতা মুলক পত্র প্রাপ্তি শিক্ষকগণ ও স্থানীয় সূধীজন মাদ্রাসার বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার অাহ্বান করেন।