বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জমি উদ্ধারে শিক্ষকদের অভিযান

শাহজাহান কবির লেলিন, প্রতিনিধি জলঢাকা, নিলফামারী : নীলফামারী জলঢাকায় শিক্ষক সমিতির নামে জমি উদ্ধারের জন্য অভিযান চালিয়েছে উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতারা। সোমবার সকালে পৌর শহরের পশ্চিম কাছারী পাড়ায় অবস্থিত ৬ শতক জমি উদ্ধারের দাবীতে অভিযান চালিয়েছে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। জানা গেছে, দীর্ঘ ৫০ বৎসর ধরে জলঢাকা মৌজার জে এল নং ৫৭, খতিয়ান নং এস এ - ৬৩১, ডি পি নং - ১০, দাগ নং এস এ- ২৭১, ডিপি- ১৭৩৮ - ১৭৮৩ উক্ত ৬ শতক জমিতে উপজেলা শিক্ষক সমিতির প্রতিষ্ঠান রয়েছিলো। বিগত সরকারের আমলে শিক্ষক তোফায়েল আহাম্মেদ শিক্ষক সমিতির দুই গ্রুপের একাংশের সাধারন সম্পাদক পদে নিজেকে স্ব-ঘোষিত নির্বাচিত হওয়ার সুবাদে, তিনি সেখানে অবস্থান করেন। মূল মালিক রজনি কান্ত মৌখিক ভাবে তৎকালিন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাদে শিক্ষক সমিতির নামে দান করেন।

এবং শিক্ষক সমিতি তাদের নিজের নামে রেকর্ড করে নেয়। এরপর তোফায়েল নামের এক মাষ্টারের নিজের ভিটায় অগ্নিকান্ডে পুরে যাওয়ার খবরে শিক্ষকরা শোকাহত হয়। এবং সে সময়ে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে প্রায় ১২ বছর পুর্বে এখানে বসবাস করার অনুমতি দিয়েছিলেন। সেখানে বসবাস এর স্থলে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ভাড়া দেন এই শিক্ষক। বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান মাস্টার। তোফায়েল আহম্মেদ এর স্ত্রী বিলকিছ নাহার ও তার ছেলে জিয়াউর রহমান বলেন, জমিটির মূল মালিক রজনি কান্ত এর মৃত্যুর পর তার ছেলে বিশ্বনাথ বসবাস করে আসছিল। বিশ্বনাথের পুত্র সন্তান না থাকায় মিনুতি রাণী, পুন্নি রাণী এখানে বসবাস করে আসছে। আমার স্বামী বিশ্বনাথের কাছ থেকে ৬ শতকের মধ্যে ৩ শতক জমি ১৯৯৮ সালে ক্রয় করে আমাদের নামে। শিক্ষকরা আমাদের নামে বার-বার মামলা করেছে বিভিন্ন সময়ে আমরা রায় পেয়েছি। মামলাটি হাইকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে অথচ শিক্ষকরা আমাদের দোকান পাঠে বেধরক তান্ডব লীলা চালায়।

দোকান ভাড়াটে শিকদার রহমান অভিযোগ করে বলেন, এখানে আমি প্রায় ১২ বছর ধরে দোকান করে আসছি ওয়েলডিং কারখানা। সেখানে হঠাৎ শিক্ষকরা দলবদ্ধ ভাবে এসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করবে এটা আমার জানা ছিল না। এ সময় অনেক মূল্যবান জিনিস খোয়া গেছে যার আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষধিক টাকা। প াশ্ববর্তী দোকানদার সুমন্ত চন্দ্র রায় বলেন, শিক্ষকদের ভাংচুরে আমি পথে নেমেছি। সমিতির সভাপতি জহুরুল খাঁন বলেন, আমাদের সমিতিতে ১৬ শত শিক্ষকের গঠিত এই কমিটি। আমাদের নিজের বসার মত জমি থাকা সত্বেও আমরা কোথাও বসার জায়গা পাই না। এ নিয়ে আদালতে আমরা ৫ বার রায় পেয়েছি। কিন্তু ভোগদখল কারীরা কিছুতেই জমি ছারছিলো না তাই বাধ্য হয়েই শিক্ষক সমিতির সদস্যরা এ আন্দোলনে নেমেছে । তিনি কোটের রায়ের বরাত দিয়ে বলেন, ১৩৫৬ সালে জমিদারি প্রথা আইন বাতিল হয়। এরা কিভাবে ১৩৫৭ সালে জমিদারি প্রজাতন্ত্র আইনে জমি পত্তন করে নেয়। জেলা জর্জ নীলফামারী ৬৯০৯ নং মামলায় তোফায়েল আহম্মেদ এর মামলাটিকে মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন। যার প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বাকীর করে বলেন, বিচারিক আইন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই জমিতে আপাতত কোন পক্ষ প্রবেশ করতে পারবে না।