বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় রাজনৈতিক হালচাল ! আওয়ামীলীগ দ্বিধাদ্বন্দ্বে বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে ফুরফুরে মেজাজে জামায়াত জাপা দুই নৌকায়

শাহজাহান কবির লেলিন, প্রতিনিধি জলঢাকা, নিলফামারী : নীলফামারীর জলঢাকা কিশোরগঞ্জ নির্বাচনী-৩ আসনের এলাকায় জমে উঠেছে নির্বাচনী হাওয়া। আগামী একাদশ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে সরগরম সরকার ও বিরোধি দল। জামায়াত অধ্যুষিত ঘাটি আওয়ামীলীগের হওয়ায় এখনো ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন নিবন্ধন বঞ্চিত দল জামায়াত। তবে দুই নৌকায় টানা পড়নে পড়েছেন জাতীয় পার্টির জাপা। অন্যদিকে প্রধান বিরোধি দল বিএনপি সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদক দলীয় কর্মকান্ডের কর্মসূচি পালন করলেও উপজেলা কমিটির সহ সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এমপি কর্মসূচি পালন করেন একক ভাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানিয়েছেন, আওয়ামীলীগ দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকায় এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে। গেল বারে এ আসনটি মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টি নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে এ আসনটি দখল করেন আওয়ামীলীগ।

বৃহস্পতিবার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক উৎপল ভট্টাচার্য বলেন, আওয়ামীলীগের দ্বিধাদ্বন্দ্ব এখন চরমে যা প্রকাশ্য রূপ লাভ করেছে। জাতীয় পার্টির নেতা বাবলুর রহমান জানান, বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে এ আসনটি মহাজোট হলে জাপার থাকবে এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস! সেক্ষেত্রে সাবেক জাপার এমপি ফারুক কাদেরের মনোনয়ন নিশ্চিত। পৌর বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম ও আব্বাস আক্ষেপের সঙ্গে জানায়, আমাদের বিএনপি শুধু কাগজ আর কলমে, অনেক হাইব্রিড নেতা ঢুকে পড়েছেন এ দলটিতে। নের্তৃত্ব শূন্যতার কারণে শহীদ দিবস আর বিজয় দিবস ছাড়া কোন কর্মসূচি পালন করে না দলটি।

জামায়াতের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, মামলা হামলায় জড়িয়ে থাকলেও জামায়াতের নির্বাচনী কার্যক্রম চলছে জোঁরে-সোঁরে-তলে-তলে। ১৫ টি ইউনিয়ন মিলে এ আসনটি একাদশ নির্বাচনে জনগণ কাকে দিবে বিজয় মুকুট তা ভাবাপন্ন ! অদ্যবধি সাংগঠনিক কার্যক্রম হিসেবে আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের কমিটির মেয়াদউক্তীর্ণ নিয়ে চলছে বর্ধিত সভা-সমাবেশ। পাশাপাশি এমপি সমর্থিত লোকজন সাংগঠনিক কার্যক্রম করতে গিয়ে মূল কমিটির রোষানলে পড়ছে অনেকেই। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মলেন্দু বলেন, আমাদের জলঢাকায় ৬০ হাজার হিন্দু ভোটার রয়েছে, আওয়ামীলীগকে এ আসনটি পেতে হলে হিন্দুর ভোটের উপর নির্ভর করতে হবে।