বিজ্ঞাপন দিন

সৈয়দপুরে দুই কাউন্সিলরসহ এগার জনের বিরুদ্ধে গাউছুল আযম ফারুকীর মানহানী মামলা।

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধি ঃ সৈয়দপুরে দুই কাউন্সিলরসহ এগার জনের বিরুদ্ধে গত ১০ ডিসে¤¦র ২০১৭ ইং তারিখে নীলফামারী আদালতে মানহানী মামলা দায়ের করেছেন শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার বাসিন্দা মোঃ গাউছুল আযম ফারুকী। মামলা নং- পি ১৭৪/১৭। মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী মোঃ গাউছুল আযম ফারুকীর পিতা মরহুম ওমর আলী ফারুকী পূর্ব পাকিস্তান সময়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে দীর্ঘদিন সরকারী উচ্চ পর্যায়ে অফিসার মর্যাদায় চাকুরী শেষ করে অবসর গ্রহন করেন। অতপর বাদীর পিতা সৈয়দপুর পৌরসভার মাধ্যমে একটি ৬ষ্ঠ তলা বিল্ডিং এর নকশা অনুমোদন করিয়ে নির্মান কাজ শুরু করেন। বার্ধক্যজনিত কারণে বাদীর পিতার পক্ষে নির্মাণাধীন বিল্ডিং এর কাজ দেখাশুনার সমস্যা হলে বাদীর পিতা বাদীকে জানালে বাদী তার পিতার নির্মাণাধীন বিল্ডিং এর কাজ দেখাশুনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। উক্ত নির্মাণাধীন বিল্ডিং এর অবকাঠামো ৬ষ্ঠ তলা পর্যন্ত নির্মাণ হলে বাদীর পিতা ইন্তেকাল করেন। বাদীর পিতার হেবা রেজিষ্ট্রি দলিলমূলে এবং বাদীর ভাইবোনদের মাঝে বন্টন সূত্রে বাদী উক্ত নির্মাণাধীন বিল্ডিং এর অধিকারী হয়ে নিজ নামে খারিজ করে নেন। ইতিমধ্যে বাদীর স্ত্রীর সাথে বাদীর শ্যালকদের জায়গা জমি সংক্রান্ত বিবাদ সৃষ্টি হলে বাদী তার শ্যালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলাকে কেন্দ্র করে অত্র মামলার ৬-১১ নং আসামীগন যথাক্রমে পুরাতন বাবুপাড়ার বেলাল হোসেন, শামিম নওয়াব, মিন্টু, শাহীন আকতার (কাউন্সিলর) এবং বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার ফরতাজ উদ্দিন, আল মামুন সরকার (কাউন্সিলর) বাদীকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন ও বাদীর মানহানী করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করে। উল্লেখিত আসামীগন তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য বাদীকে কালো টাকার মালিক, জঙ্গী, সন্ত্রাসী উল্লেখ করে বাদীর বিরুদ্ধে একটি স্বারকলিপি তৈরী করে তাতে নিজেরা স¦াক্ষর করে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করে। অতপর উল্লেখিত আসামীগন অত্র মামলার ১-৫ নং আসামীগণ যথাক্রমে সাপ্তাহিক নীলফামারী চিত্রের স¤পাদক হাজী মকসুদ আলম, ভারপ্রাপ্ত স¤পাদক মেজবাহুল আলম মিশু, নির্বাহী স¤পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার এবং সাপ্তাহিক নীল সমাচারের স¤পাদক হাজী আব্দুল্লাহ, নির্বাহী স¤পাদক ওবায়দুল ইসলাম এর যোগসাজসে বাদীর বিরুদ্ধে মানহানীকর উক্তি স¤¦লিত সংবাদ প্রকাশ করে। বাদী মোঃ গাউছুল আযম ফারুকী একজন উচ্চ শিক্ষিত এবং সম্মানী ব্যক্তি। সমাজে তার ভাল অব¯'ান ও সুনাম আছে। তিনি সুনামের সাথে তার ব্যবসা বাণিজ্য এবং ব্যাংকিং লেনদেন পরিচালনা করে আসছেন। আসামীগন একাধিকবার বাদীকে কালো টাকার মালিক, জঙ্গী, সন্ত্রাসী উল্লেখ করে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ও স¦াক্ষরিত মিথ্যা অভিযোগ প্রদান করে এবং যোগসাজসী ভাবে একাধিকবার পত্রিকায় প্রচার করে বাদীকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন ও বাদীর মানহানী করে দন্ডনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাই বাদী গাউছুল আযম ফারুকী এর প্রতিকারের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেন।