বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় চৌধুরী পরিবারে জমি নিয়ে বিরোধ ।।

আব্দুল মালেক নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী পরিবার পৌরসভার বগুলাগাড়ীর চৌধুরীপাড়া নামে পরিচিত। ব্রিটিশ সরকার মনির উদ্দনকে চৌধুরী উপাধীতে ভূষিত করেন। মনির উদ্দিন চৌধুরীর ৪ ছেলে জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আজিজার রহমান চৌধুরী, মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, ফজলুর রহমান চৌধুরী। ৪ সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তান জসিম উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মজিবর রহমান চৌধুরী। বংশ পরমপরায় মজিরবর রহমান চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে মহিতুর রহমান চৌধুরী পিতার অংশে পৈত্রিক সম্পত্তি মূলে মালিকানা। মারুফ মজিব চৌধুরী জন্ম গত ভাবে ঢাকায় বসবাস করে আসে এবং পিতা মহিতুর রহমান চৌধুরীর মৃত্যুর পর মালিকানা সূত্রে গ্রামের বাড়িতে আসলে চাচা মনিবুর রহমান চৌধুরী কতিপয় লোকজন দিয়ে হুমকি, ধামকি ও ভয় ভীতি দেখায়। যার ফলে ৮ জনের বিরুদ্ধে নীলফামারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত জলঢাকায় ১০৭/১১৭ (সি) ধারা মতে মামলা করেন যাহার নং-৪১৫/১৭। আদালত ৬ নং কলামকে বন্ড হিসাবে গ্রহণ করে বিবাদীগণকে অব্যাহতি প্রদান করেন। আদালতের বন্ড অপেক্ষা করে মনিবুর রহমান চৌধুরী কৌশল অবগত করে মারুফ মজিদ চৌধুরীর পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগ দখলের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ সূত্রে সরেজমিনে গেলে জানা যায়, এসএ খতিয়ান অথবা ১৯৬৩ সালের রেকর্ড মূলে মালিক মজিবর রহমান চৌধুরী। ১৯৬০ সালে মজিবর রহমান চৌধুরী মৃত্যুবরণ করায় ছেলে মহিতুর রহমান চৌধুরী পৈত্রিক সূত্রে জমি জমার মালিক। বগুলাগাড়ি ও মাথাভাঙ্গা মৌজার জমি নিজ নামে রেকর্ড সূত্রে চেক মুলে বেশি জমি থাকায় অন্যান্য অংশিদাররা হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মহিতুর রহমান চৌধুরীকে দিয়ে ১৯৬৯ সালে ৫টি অ-রেজিষ্ট্রিকৃত বাটোয়ারা তৈরি করে জমি ভোগদখল করিয়া আসে।

কিন্তু মহিতুর রহমান চৌধুরী বাটোয়ারা তৈরি করার পর তাহার নিজ বাটোয়ারা থেকে তিস্তা ক্যানেলে জমি বিক্রি করিলে বাটোয়ারা ভেঙ্গে যায়। উল্লেখ্য অভিযোগে বগুলাগাড়ি মৌজায় ১৯৫৫ খতিয়ান জমির পরিমাণ ৮.৪৫ একর, ১১৫০ খতিয়ানে ১৬.৪২ একর, ১১৫৪ খতিয়ানে ২.১২ একর, মাথাভাঙ্গা মৌজায় ৯৪ খতিয়ানে ৭৩ শতক, বগুলাগাড়ি মৌজায় ১৮১৬ খতিয়ানে ৩.৩৩ একর, ১৩৩৮ খতিয়ানে ৯৩ শতাংশ, মোট ৩১.৯৮ একর জমি। এব্যাপারে প্রভাষক মনিবুর রহমান চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগকারীর পিতা আমার চাচাতো ভাই আমি সহজ সরল বলে আমার উপর অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানি করাচ্ছে।