বিজ্ঞাপন দিন

সৈয়দপুরে দুই কাউন্সিলরসহ এগার জনের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মানহানি মামলা

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধি : সৈয়দপুরে দুই কাউন্সিলরসহ এগারজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আদালতে মামলা দায়েরের পর এবার ওই এগার জনের বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে এক কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছেন শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার বাসিন্দা গাউসুল আযম ফারুকী। মামলা নং মানি সুট ০১/১৮। মামলা সুত্রে জানা যায়, বাদী গাউসুল আযম ফারুকীর পিতা মৃত ওমর আলী ফারুকী পূর্ব পাকিস্তান সময়ে ¯œাতক ডিগ্রী অর্জন করে দীর্ঘদিন সরকারী উচ্চ পর্যায়ে চাকুরী শেষ করে অবসর গ্রহন করেন। অতপর বাদীর পিতা সৈয়দপুর পৌরসভার মাধ্যমে একটি ৬ তলা বিল্ডিংয়ের নকশা অনুমোদন করে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ওই নির্মাণাধীন বিল্ডিং এর অবকাঠামো ৬ষ্ঠ তলা পর্যন্ত নির্মাণ হলে বাদীর পিতা ইন্তেকাল করেন। বাদীর পিতার হেবাদান মূলে এবং বাদীর ভাইবোনদের মাঝে বন্টনসূত্রে বাদী ওই নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের অধিকারী হয়ে নিজ নামে খারিজ করে নেন। ইতিমধ্যে বাদীর স্ত্রীর সাথে বাদীর শ্যালকদের জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ সৃষ্টি হলে বাদী তার শ্যালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাকে কেন্দ্র করে অত্র মামলার ৬-১১ নং আসামীগণ যথাক্রমে পুরাতন বাবুপাড়ার মোঃ বেলাল হোসেন, মোঃ শামিম নওয়াব, মোঃ মিন্টু, মোঃ শাহীন আকতার (কাউন্সিলর) এবং বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার মোঃ ফরতাজ উদ্দিন, মোঃ আল মামুন সরকার (কাউন্সিলর) বাদীকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন এবং বাদীর মানহানী করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। উল্লেখিত আসামীগন তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য বাদীকে কালো টাকার মালিক, জঙ্গী, সন্ত্রাসী, উল্লেখ করে মিথ্যা স্মারকলিপি তৈরি করে তাতে নিজেরা স্বাক্ষর করে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে প্রদান করে। অতপর উল্লেখিত আসামীগণ অত্র মামলার ১-৫নং আসামীগন যথাক্রমে সাপ্তাহিক নীলফামারী চিত্রের সম্পাদক হাজী মোঃ মকসুদ আলম, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ মেজবাহুল আলম মিশু, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সরকার এবং সাপ্তাহিক নীল সমাচারের সম্পাদক হাজী মোঃ আব্দুল্লাহ, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ ওবায়দুল ইসলামের যোগসাজসে বাদীর বিরুদ্ধে মানহানিকর উক্তি সম্বলিত সংবাদ পরিবেশন ও প্রচার করে। বাদী গাউসুল আযম ফারুকী একজন উচ্চ শিক্ষিত এবং সম্মানী ব্যক্তি। সমাজে তার ভাল অবস্থান ও সুনাম আছে। বাদী সুনামের সাথে তার ব্যবসা বাণিজ্য ও ব্যাংকিং লেনদেন পরিচালনা করে আসছেন। আসামীগন একাধিকবার বাদীকে কালো টাকার মালিক, জঙ্গী, সন্ত্রাসী উল্লেখ করে তাদের লিখিত ও স্বাক্ষরিত মিথ্যা অভিযোগ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে প্রদান করে এবং তা যোগসাজসীভাবে একাধিকবার পত্রিকায় প্রচার করে বাদীকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন ও বাদীর মানহানি করে। তাই বাদী গাউসুল আযম ফারুকী উল্লেখিত আসামীগণের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য গত ১০ ডিসেম্বর আমলী আদালত -১, সৈয়দপুর, নীলফামারীতে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন এবং ৭ জানুয়ারী নীলফামারী জেলা জজ আদালতে মানহানির ক্ষতিপূরণ বাবদ এক কোটি টাকার একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। জানা যায়, জেলা জজ আদালতে এক কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে তিনি এডভোলেরাম কোর্ট ফি বাবদ ৫৭,৫০০/- (সাতান্ন হাজার পাঁচশত টাকা) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বরাবরে প্রদান করেন।