বিজ্ঞাপন দিন

এসিটি শিক্ষক মার খেল দুজন এমপিও শিক্ষকের হাতে

জল ডেস্ক: এসএসসি পরীক্ষার বিদায় অনুষ্ঠানে এসে বিদ্যালয়ের দুই এমপিওভুক্ত শিক্ষক বিদ্যালয়ে কর্মরত গণিতের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) মো: রুবেল আহমেদকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল (২৮শে জানুয়ারি) সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পিয়ানগুল কলিম উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিদায় অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক শিহাব উদ্দিন ও কৃষি শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক আকরামুল হক রুবেল আহমেদকে মারধর করেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, এসএসসি পরিক্ষার্থীরা স্কুলে উপহার হিসেবে একটি মাইক প্রদান করে। স্কুলের ক্যাম্পাসে একটা মসজিদ আছে যেখানে মুখে আজান হত। তাই পরীক্ষার্থীরা এসিটি শিক্ষক রুবেলকে জিজ্ঞাসা করে মাইকটা স্কুলে দেবে নাকি মসজিদে। যেহেতু স্কুল এরিয়ার ভেতর মসজিদ আর মসজিদে যেহেতু প্রতিদিন আযান হয় তাই মসজিদে দিলেই ভাল হয় বলে মতামত দেন শিক্ষক রুবেল আহমেদ। 

এতেই ক্ষেপে গিয়ে গণিতের শিক্ষক শিহাব উদ্দিন ও কৃষি শিক্ষার শিক্ষক আকরামুল হক সজীব রুবেল আহমেদকে মারধর করেন। এ ঘটনায় স্কুলে গতকাল বিকেলের দিকে এক জরুরী সভা বসে এবং সেখানে বলা হয়, যেহেতু অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক রুবেল আহমেদের প্রকল্পের মেয়াদ গত বছরের ৩১শে ডিসেম্বর শেষ হয় তাই তিনি এখন আর বিদ্যালয়ের শিক্ষক নন। এসব কথা বলে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি অভিযোগ শিক্ষক রুবেল আহমেদের। এ ঘটনায় এসিটি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ এসিটি এসোসিয়েশন' এর পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে। মারধরের শিকার রুবেল আহমেদ বলেন, বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক শিহাব উদ্দিন আমাকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে লাঞ্ছিত করে এবং সবার সামনেই মারধর করে। তারা অফিস কক্ষে আমাকে বলে, ‘তুমিতো পরগাছা। তুমি কেন এখানে আসো? তোমার তো মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তোমার তো অফিসে বসারও যোগ্যতা নেই’। রুবেল অভিযোগ করে বলেন, আমার মোবাইল ফোনও ভেঙে দেয়া হয়েছে। কোন সঠিক বিচার পায়নি। শুধু হাত মিলিয়েই বিচার শেষ হয়েছে। 

আমি এর সঠিক বিচার চাই। বাংলাদেশ এসিটি শিক্ষক এসোসিয়েশনের সভাপতি কৌশিক রায় জলঢাকা নিউজকে বলেন, ‘যেখানে আমাদের প্রতিটি দিনই যায় চিন্তায়, কবে নাগাদ জিও (সরকারি আদেশ) সাইন হবে, আমরা স্কুলে যাব কি যাব না, নাকি সব সময়ই অবহেলিত থাকব, সেখানে এমন একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আমাদের ব্যাথিত করে।’ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: শওকত আলী বলেন, দুজন শিক্ষকের মধ্যে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে মীমাংসা হয়ে গেছে। তাদের বলা হয়েছে তারা যেন কেউ কারও সাথে কথা না বলে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ এসিটি এসোসিয়েশন, জলঢাকা উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জলঢাকা উপজেলা প্রচার সম্পাদক মিসবাহ-উল হক।