বিজ্ঞাপন দিন

অযত্ন-অবহেলায় জলঢাকার স্টেডিয়াম মাঠটি

ফরহাদ ইসলাম,জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ প্রাচীর ব্যবস্থা ও মাঠ সংস্কার অভাবে অযত্ন আর অবহেলায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম মাঠটি বর্তমানে খেলাধুলার  অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রাচীরবীহিন এ মাঠটি গরু-ছাগলের আবাসভূমিতে পরিণত হয়েছে। বিগত দিনে উত্তরাঞ্চলের রংপুর,বগুড়া,ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ফুটবল ও ক্রিকেট দল এখানে আসতো খেলার জন্য। কানায়-কানায় পূর্ণ হতো দর্শকে। যা সুখস্মৃতিতে মলিনের পথে আয়োজন আর পরিচর্যার অভাবে। শুধুমাত্র জাতীয় কর্মসূচি পালনের দিনে স্টেডিয়াম মাঠটি সাঁজগোজের শোভা পেলেও বাকি দিনগুলোতে কেউ থাকে না দেখভাল করার।

আর এ কারনে খেলাধুলার  অনুপযোগী হয়ে পড়েছে স্টেডিয়ামটি। তবে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতনরা উদ্যোগ নিলে বাঁচত এ জনপদের ক্রীড়াঙ্গন। পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় লুকিয়ে থাকা মেধাবীরা সুযোগ পেয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সমৃদ্ধ করে সুনাম বয়ে আনত বলে ধারনা করছেন,স্থানীয় ক্রীড়াবিদরা। ৩ একর ৬৬ শতাংশ জমিতে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে এ উপজেলাবাসীর খেলাধুলার জন্য স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করেন তৎকালীন সরকার। দেখার কেউ না থাকায় দিন-দিন দখল করে নিচ্ছেন স্টেডিয়ামের পাশ্ববর্তী বসবাসকারীরা। এমনকি প্রাচীরের ইটগুলো রেহাই পায়নি তাদের হাত থেকে।

দির্ঘদিন ধরে মাঠটি পরিচর্যা না করায় ভেঙ্গে যাচ্ছে প্রাচীরগুলি। ফলে এখন কোন ক্লাবই অনুশীলন করতে আসেন না। এভাবে এ জনপদের ফুটবল ক্রিকেট খেলা ও খেলোয়াড় প্রাই হারিয়ে যেতে বসেছে। স্টেডিয়ামটিতে সন্ধ্যার পর পরেই চলে তরুণদের নেশার আড্ডা,বলে জানা গেছে একাধিক সচেতন মানুষের কাছে। ইতিপুর্বে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশ হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

জলঢাকা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেল জানান,স্টেডিয়াম মাঠটির বেহালদশা থাকায় আমরা ভাল পরিবেশের খেলাধুলার আয়োজন করতে পারছি না। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহঃ রাশেদুল হক প্রধান বলেন,সরকারের পক্ষ থেকে এখানে একটি মিনি স্টেডিয়াম হচ্ছে,ভবিৎষতে প্রাচীর নির্মানের জন্য আমরা চেষ্ঠা করছি এবং মাঠের জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।