বিজ্ঞাপন দিন

কিশোরগঞ্জে বালু উত্তোলনের বৈধতা দিলেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ সরকারী ভাবে বালু উত্তোলন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বৈধতা দিলেন, নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ। বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ৪ তলা ভবনের নির্মাণের জন্য রাজস্ব খাতে ১ তলা ভবন নির্মাণের বরাদ্ধ ৭০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ইতি মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মহসেনা এন্টারপ্রাইজ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ভবনের ভিত্তি স্থাপন হলে বালু ও মাটির প্রয়োজন হলে পাশের জমিতে মেশিন লাগিয়ে ড্রেজিং দিয়ে দিনে-দুপুরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে। সরেজমিনে গেলে দেখা যায় মাটি ভরাটের প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকা লাগে। সেখানে ১ লক্ষ টাকা চুক্তিতে শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে মাটি ভরাট করছে। এসব দৃশ্য দেখে বড়ভিটা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফকে ০১৭২৩-২৬১৮১৫ এই নাম্বারে সংবাদকর্মী পরিচয়ে বলতে গেলে, তিনি চরাও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাছ করে। যেখানে বালু মহল মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ সালের ১০ ধারায় উল্লেখ্য থাকে যে, শ্যালো মেশিন বা কোন যান্ত্রিক মেশিন দিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ বালু অথবা পাথর উত্তোলন করা দন্ডনীয় অপরাধ। এ আইনকে উপেক্ষা করে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা অর্থের লোভে বালু উত্তোলনের বৈধতা দেয়। এছাড়াও গোপন সূত্রে জানা যায়, আব্দুল লতিফ ক্ষমতার জোরে সাধারণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে খারিজ-খাজনার নামে মোটা অর্থ লুঠিয়ে নেয়। তার খুটির জোরে কেউ কিছইু বলতে পারে না। ঐ কর্মকর্তা আরো বলেন, সরকারী কাজে বালু উত্তোলন করতে পারবে এ বিষয়টি ইউএনও মহোদয়ের নলেজে আছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মেহেদী হাসানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে, না পাওয়ায়, বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়।